# তাফসীরে উছমানীর উপর লেখা হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব দা. বা.-এর ভূমিকার চুম্বকাংশ : ১. তাফসীরে উছমানীকে আমরা তালেবে ইলমীর যমানায় ‘ফাওয়ায়েদে উছমানী’ বলতাম। ২. আমরা আসাতেযায়ে কেরামকে দেখেছি যে, তাঁরা এই তাফসীর গুরুত্বের সাথে মুতালা করতেন। ৩. বান্দা ছোটকাল থেকে এই তাফসীরের প্রতি অনুরক্ত ছিলাম। আর সেই অনুরাগ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। # মাওলানা ইউসুফ বিন্নুরী রহ. তার কিতাব ইয়াতীমাতুল বয়ানে লিখেছেন, যার মর্ম- ১. কেউ যদি উর্দূ ভাষায় স্বল্প সময়ে কুরআন মাজীদ বুঝতে চায়, তাহলে তার উচিত আমাদের মাশায়েখদের শায়েখ আরেফ বিল্লাহ হযরত মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রহ. এবং আমাদের শায়খ মুহাক্কিকুল আসর হযরত মাওলানা শাব্বীর আহমদ উছমানী (আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘ হায়াত দান করুন) কর্তৃক রচিত তাফসীরী ফাওয়ায়েদ মুতালা করা। ২. কুরআন মাজীদের অর্থ ও মর্ম উদঘাটনে এই তাফসীর অত্যন্ত উপকারী। ৩. এর ভাষার মানও অত্যন্ত উঁচু। ৪. সুসংক্ষিপ্ত শব্দ-বাক্যে বিপুল পরিমাণ মর্ম এতে সন্নিবেশিত করে দেওয়া হয়েছে। ৫. কখনো দেখা যায়, বিশাল বিশাল গ্রন্থ পড়ে এবং বিপুল পরিমাণ ঘাটাঘাটি করেও যে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে না, এই তাফসীরে ছোট্ট একটি বাক্যে কিংবা সামান্য একটি ইঙ্গিতে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ৬. তালেবে ইলমগণ তো বটেই, বড় ও বিশেষ লোকদেরও এই তাফসীর না খুলে থাকার উপায় নেই। ৭. কারণ, যত আরবী তাফসীর আমাদের সামনে ছেপে এসেছে তার কোনোটাই এই তাফসীরের সমান বা বরাবর কিংবা বিকল্প কিছুই হতে পারে না। ৮. আমি বলব না যে, এই তাফসীর আমাদেরকে অন্য সকল তাফসীর থেকে অমুখাপেক্ষী করে দিয়েছে। বরং আমি বলব, যেমনিভাবে এই তাফসীর অন্যান্য তাফসীর গ্রন্থ থেকে অমুখাপেক্ষী নয় তেমনি অন্যান্য তাফসীরগ্রন্থও এই তাফসীর থেকে অমুখাপেক্ষী নয়। # শাইখুল মাশায়েখ হযরত মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী ছাহেব রহ. ইহতিমামের সঙ্গে এই তাফসীর মুতালা করার প্রতি তাকিদ করতেন এবং বলতেন, এই তাফসীর এত মুতালা করো যে, যদি পুরোটা হিফয নাও হয় তবু অন্তত এর অধিকাংশ বাক্য যেন আত্মস্থ হয়ে যায় এবং যবানে জারি হয়ে যায়। # রাহবারে উম্মত হযরত মাওলানা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. লিখেছেন, ১. “যখন দারুল উলূম নদওয়াতুল উলামায় তরজমায়ে কুরআন এবং তাফসীরের খেদমত অর্পিত হয়, তখন হযরত মাওলানা শাব্বীর আহমদ উছমানী রহ. এর তাফসীরের কদর বুঝে আসে। ২. এতে তিনি মুফাসসিরগণের বক্তব্যসমূহের সারাংশ এবং তাঁদের তাহকীক ও গবেষণার সেই অংশ উল্লেখ করে দিয়েছেন, যা বর্তমান যুগের সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন মানসিকতার লোক অনায়াসে গ্রহণ করে নিতে পারে। ৩. এতে মাওলানার চিন্তার সুস্থতা, উত্তম নির্বাচন ও লেখার প্রাঞ্জলতা একদম স্পষ্ট।