পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য পৃথিবী ধ্বংসের রহস্যের মতোই। পৃথিবী ধ্বংস হলে কী শুধু মানুষই মারা যাবে? এ চিন্তা বা দুশ্চিন্তা সবার মধ্যেই নিয়ে আসে কোভিড-১৯। মানব ইতিহাসের শুরু থেকে নানারকম মহামারির শিকার হয় মানুষ। কিন্তু করোনার মতো এতো প্রভাবশালী ভাইরাস খুব কমই দেখা গেছে। শফিক হিরো তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাব্য ভাবনায় সেই মহামারি করোনার ভয়াবহতা ধারণ করতে চেয়েছেন। শব্দবন্ধের মধ্য দিয়ে তিনি করোনাকে ‘করোনাস্ত্র’ নামে অবিহিত করেছেন। অস্ত্র দিয়ে যেমন মানুষ নিধন করা হয়। তেমন করোনাও সেই কাজ করেছে। একজন আর একজনের সংস্পর্শে এলেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ে! প্রাথমিক অবস্থায় ছিল না কোনো চিকিৎসা বা কোনো ওষুধ। আক্রান্ত ব্যক্তি চোখের সামনে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত। মায়ের সামনে সন্তান, সন্তানের সামনে পিতার মৃত্যু এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা সারা বিশ্বকে মুহ্যমান করে দিয়েছে। লক ডাউন, সার্ট ডাউন, সামজিক দূরত্ব কতো কি করেও মৃত্যুর মিছিল থামনো যায়নি। কবরে জায়গাও ফুরিয়ে গেছে! লাশ পড়ে থেকেছে যত্রতত্র। কি করুণ আর নির্মম এ দৃশ্য। শফিক হিরোর এ কবিতাগুলো যেন এই মহামারি আক্রান্ত মানবজাতির এক এক ফোটা অশ্রæবিন্দু। প্রকৃতি আর মানুষের এই অসম লড়াইয়ে কী করে যেন মানুষ জিতে যায় অনেক হারিয়ে, অনেক বিরহ বিচ্ছেদ ব্যথা সহ্য করে। তাই এ কবিতাগুলো আমাদের বিশ্বাস আর বিজয়ের নির্ণয়ক।
শফিক হিরো’র জন্ম ১ই জানুয়ারি ১৯৭৬, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার ছোটনদী শুলাই ও কালিগঙ্গার ক‚লঘেঁষা ব্রী-কালিয়াকৈর গ্রাম। পিতা মো. ইমান আলী; তিনি স্বনামধন্য একজন অধ্যক্ষ ছিলেন। মাতা আনোয়ারা বেগম। গ্রামের নৈসর্গিক আবহে কাটিয়েছেন শৈশব ও কৈশোর। সবুজ নির্জনতার সেই আবহে রয়েছেন এখনও। জীবনবোধ, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাহিত্য চর্চা করেন ছাত্রজীবন থেকে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিরাজমান পীড়াদায়ক অসংলগ্নতা তার কবিতায়, উপন্যাসে মূর্ত হয়ে ওঠে।