"হাফ এ লাইফ" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: হাফ এ লাইফ উপন্যাসটি লেখার আগে বহুদিন নাইপল কিছু লেখেননি। তার এই না লেখার কারণটা অবশ্য বুঝা যায় উপন্যাসটি পড়ে পুরাে উপন্যাসে তিনি দেখিয়েছেন ভারতীয় যুবক উইলি চন্দ্রের জীবনের টানাপােড়েনের কাহিনী। বর্ণবাদী বৈষম্যের শিকার উইলি ছােটবেলায় একবার যাযক হতে চেয়ে ছিলাে কিন্তু বাবার ইচ্ছায় সে বাধ্য হয় লন্ডনে যায়। আর এই যাত্রাই তাকে ভবঘুরে করে তােলে। অ্যানা নামের এক মিশ্র পর্তুগিজ মহিলার হাত ধরে পারিজমায় তখনকার পুর্তগিজ কলােনি আফ্রিকায়। কিন্তু সেখানেও তার সুখ হয়নি। নিজের দেশ ভারতের বর্ণ বৈষম্যের স্মৃতিগুলাে তাকে কুড়ে কুড়ে খেয়েছে সারাটা জীবন। আর তাই ব্রাহ্মণ বাবা আর নিচু বর্ণের মা এর সন্তান উইলির কাছে পৃথিবীটাকে মনে হয়েছে পিচ্ছিল এক নরক; যেখানে একবার পড়ে গেলে আর উঠে বসা যায়না। হাফ এ লাইফ উপন্যাসের নায়ক উইলি হয়তাে নাইপলের নিজেরই প্রতিরুপ। ঠিকানাহীন নিজের ভবঘুরে জীবনের কথাই হয়তাে তিনি লিখেছেন এ উপন্যাসে। আর বিচ্ছিন্নভাবে পুরাে উপন্যাস জুড়েই ছড়িয়ে আছে উপনিবেশিক মানুষের চালচিত্র আর তাদের বাধাহীন যৌন জীবনের কাহিনী।