ফ্ল্যাপে লিখা কথা মাহবুবকে মুখে স্বামী হিসেবে কবুল করলেও মন থেকে তাঁকে স্বামী বলে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না নিপু। নিপুর কেবলই মনে হয় তার বাইশ বছরের জীবনে বায়ান্ন-চুয়ান্ন বছর বয়সের মাহবুব কিছুতেই তার স্বামী হতে পারে না। কারণ সে তার বাবার বয়সী। সে তার বাবার মত। তাই বিয়েটাকে সে পরম প্রাপ্তি বা নবজীবনের সূচনা না মনে করে নিজেকে বিসর্জন বা নারী জীবনের অভিশাপ বলে মনে করে। বাসর রাতের স্বামী সাহচর্য্য নিপুকে বিন্দু পরিমাণ সুখও দেয় না। বরং তার জীবনটাকে কেমন বিষাদময় করে তুলে। মিলনের আনন্দে উদ্বেলিত হওয়া নয়, স্বামী সাহচর্য্যকে তার মনে হয় ধর্ষণ।
ভোর বেলায় স্বামী যখন বিশ্বজয়ের সুখানভূতিকে সঙ্গী করে গভীর ঘুমে বিভোর তখন গোসল সেরে নীচে নেমে আসে নিপু। দক্ষিণের কক্ষে খোলা দরজায় চোখ পড়তেই সে দেখতে পায় এক ইয়াংম্যান গোসল সেরে তোয়ালে পরে বাথরুম থেকে বেরুচ্ছে। সুদর্শন সে যুবকটাকে দেখে মুগ্ধ হয় নিপুর চোখ জোড়া। নিপু মনে মনে ভাবে, তার বিয়েটা ঐ বুড়ো মাহবুবের সঙ্গে না হয়ে এই সুদর্শন যুবকের সাথে হলে পার হয়ে যাওয়া (গত) রাতটায় ধর্ষিত হতে হত না তাঁকে স্বামীর সঙ্গে সেও উপভোগ করতে পারতো বাতটাকে। অনেক অনেক সুখ লুফে নিতে পারতো সেও।
সকালে খাবার টেবিলে নিপুর সঙ্গে সুদর্শন ইয়াংম্যানটাকে পরিচয় করিয়ে দেয় মাহবুব। নিপু জানতে পারে এই সুদর্শন পরিচয় করিয়ে দেয় মাহবুব। নিপু জানতে পারে এই সুদর্শন ইয়াংম্যানই তার স্বামীর ছেলে। নাম সাহেদ। আর সে সাহেদের মা।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে নিপু ভাবে, আমি এ সম্পর্ক মানি না। আমার বাইশ বছরের জীবনে আর দশ বছরের যৌবনে ছাব্বিশ বছরের সাহেদ কিছুতেই আমার ছেলে হতে পারে না। সে আমার .........