ভুমিকা মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মিটাতে কোয়েল পাখির অবদান অনস্বীকার্য। অল্প খরচে বেশি লাভ করা যায় কোয়েল পাখি পালন করে। কোয়েল পালনে কবুতরের মতো নির্দিষ্ট ঘর যেমন প্রয়োজন হয় না আবার মুরগির মতো বড়ো আকারের খামারেরও প্রয়োজন নেই। তাই কোয়েল পালন আজকাল অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোয়েল পালন করার জন্য খুব বেশি খরচ হয় না। বাড়ির আঙিনা অথবা ছাদে কোয়েল পালন করা যায়। শহরে বা গ্রামে সব স্থানেই কোয়েল পালন সহজ। বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের জন্য উপযোগী। তাছাড়া হাঁস-মুরগির খামারেও কোয়েল পালন করা যায়।। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইদানীং কোয়েলের ডিম ও মাংস বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কোয়েলের মাংস ও ডিম খুবই সুস্বাদু। এদের মাংস ও ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ, ভিটামিন ও স্নেহজাতীয় পদার্থ বিদ্যমান। বিশেষ করে কোয়েলের একটি ক্ষুদ্র ডিমে যে পরিমাণ প্রেটিন রয়েছে একটি বড়ো আকারের মুরগির ডিমেও প্রায় সেই একই পরিমাণ প্রোটিন বিদ্যমান। অথচ দামের দিক থেকে একটি মুরগির ডিমের বিনিময়ে চারটি কোয়েলের ডিম পাওয়া যায়। এই কারণে, আমাদের মতো গরিব দেশের আমিষের চাহিদা মেটাতে কোয়েল বড়ো ভূমিকা রাখতে পারে। বইটিতে কোয়েল পাখির লালনপালন, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসাসহ খুটিনাটি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বইটি পড়ে কেউ কোয়েল পালনে উৎসাহী হলে আমার এ লেখা সার্থক হবে। সবার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। ডাঃ এ. কে. এম. নজরুল ইসলাম।