ছেলেবেলার স্মৃতির কোলাজ যেন বিশাল এক স্মৃতির সমুদ্দুর। কত কত ঢেউ, চেনা অচেনা কত সুর। কোনটা আনন্দের, কোনটা বেদনার। কি যে এক অন্যরকম ভালোলাগা, শিহরন। সে যেন স্মৃতির রতœরাজির বর্ণিল সম্ভার। তার চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কত না গল্প, মনছুঁয়ে যাওয়া কথা-কাহিনি। দেখতে-দেখতেই জীবন এগিয়ে চলে, আমরা বড় হই। শ্রান্ত পথের ক্লান্ত পথিকের পথচলায় বিলীন হয়ে যায় কত মুহূর্ত। আমরা যে ছুটে চলেছি জীবনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, অনন্তের পথে। চাকরি, সংসার, কর্মজীবন শেষে অবসর। তবু থেমে নেই জীবনের ছুটে চলা। কিন্তু শৈশবের কথা মনে হলে থমকে দাঁড়াই। সেসব দিনের কথা ভাবতেই ঝিনুকের মতো মনের জানালায় খুলে যায় স্মৃতির ঝাঁপি। পিছন ফিরে তাকালে কিছু মুহূর্তের ছবি ছেলেবেলার স্মৃতিগুলোকে আবার তাজা করে দেয়, বুকের ভেতর অজানা পুলকিত শিহরণ জাগায়। সেই ছবি কখনো কাঁদায়, কখনো হাসায়, কখনো হৃদয়ে ঢেউ তোলে। নতুন করে ফিরে পাই পুরোনো সেই ছেলেবেলা। আহা! কী যে মিষ্টি সেই ¯^াদের শৈশব। এখনো যেন ডেকে বলে, আয়, ফিরে আয়। তাই তো বলতে ইচ্ছে করেÑ “চল না, আবার হারিয়ে যাই সেই দূর অজানায় যেখানে ফেলে আসা স্মৃতিগুলো খুঁজলেই পাওয়া যায়।”
Abul Kasem- জন্ম কুমিল্লা জেলার ঝাকুনিপাড়া গ্রামে ১লা জুলাই ১৯৫৫-তে। প্রাইমারি স্কুল থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সরকারি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে প্রবেশ করেন। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব। ছাত্র অবস্থা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। দৈনিক বাংলা (অধুনালুপ্ত), দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, সাপ্তাহিক বিচিত্রা (অধুনালুপ্ত), বাংলা একাডেমি পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর আলোচনা, প্রবন্ধ, গল্প, গবেষণা-নিবন্ধ প্রভৃতি ছাপা হয়েছে। এযাবৎ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪। কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদকসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন।