উত্তর ইরাকে, একটি প্রত্নতাত্ত্বিক খনন সাইটে ফাদার ল্যাঙ্কাসটার মেরিন খুঁজে পেলেন এক অদ্ভুত পিশাচ মূর্তি, ‘পাজুজু’র মূর্তি। আফ্রিকাতে এর সাথে লড়েছিলেন তিনি, চারপাশের লক্ষণ তাঁকে বলছিলো , সে লড়াই এখনও শেষ হয়নি, শীঘ্রই ‘পাজুজু’র সাথে দেখা হবে তাঁর ! জর্জটাউনে, বিখ্যাত অভিনেত্রী ক্রিস ম্যাকনেইলের মেয়ে রেগ্যান হঠাৎ অদ্ভুত আচরণ করা শুরু করলো । বেশ কিছু অদ্ভুত শারীরিক আর মানসিক পরিবর্তনের পর, মা ক্রিস ম্যাকনেইল নানান ধরণের চিকিৎসা করান ওকে । কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না , রেগ্যানের শরীর আর মনের দিন দিন অবনতি হতে থাকে। নিরুপায় ক্রিস শরণাপন্ন হন ফাদার কারাসের, যিনি কিনা একাধারে মনস্তত্ত্ববিদ এবং পাদ্রী। তিনি নিজেই তখন ভুগছিলেন নানান মানসিক টানাপোড়েনে। তবু তিনি তদন্ত চালিয়ে নিশ্চিত হন , রেগ্যান ‘পজেসড’। চার্চ থেকে ‘এক্সরসিস্ট’ হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয় ফাদার মেরিনকে, সাথে থাকেন কারাস। কিন্তু পিশাচ ‘পাজুজু’র ভয়ংকর আক্রমণের শিকার হন মেরিন, দৃশ্যপটে চলে আসেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কারাস। উনি কি পারবেন এই গুরুদায়িত্ব সামলাতে, নিজের মনের অন্ধকারকে একপাশে সরিয়ে বৃহত্তম অন্ধকারের হাত থেকে রেগ্যানের জীবন বাঁচাতে? পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি , উইলিয়াম পিটার ব্লেটির ‘দ্য এক্সরসিস্ট’ এর পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদে, এ পর্যন্ত লেখা সবচেয়ে ভয়ংকর উপন্যাসে। মধ্যরাতের উপযোগী ভূতুড়ে এই কাহিনী আপনাকে ঘুরিয়ে আনবে ভয়াবহ এক পরাবাস্তব জগতে, যেটা সম্বন্ধে আমরা পড়তে চাই, কিন্তু সেখানে যেতে চাই না!