তেরো শতকের বিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ইমাম ইবনে কাইয়িম আল জাউযিয়াহ (রা.)। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রা.) এর সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রগণ্য ছাত্র ছিলেন তিনি । শিক্ষক তাইমিয়ার সাথে কারাগারে যেতে হয়েছিল তাঁকেও। আইনশাস্ত্র, জ্যোতিষশাস্ত্র, রসায়ন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশেষভাবে জ্ঞানী ছিলেন তিনি। মহানবী (সা.) সারা জীবন নানা উপলক্ষ্যে সাহাবি ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে চিকিৎসার ব্যাপারে যেসব পরামর্শ দিয়েছেন সেসব সংকলিত করে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন ইমাম ইবনে কাইয়িম আল জাউযিয়াহ (রা.)। ইসলামের ইতিহাসে এবং চিকিৎসাশাস্ত্রে অক্ষয় হয়ে আছে তাঁর এই গ্রন্থ। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসের আলোকে লেখা প্রামাণ্য এই গ্রন্থটির মর্যাদা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রন্থটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য উজান প্রকাশন পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেছে এই বই। বাংলাভাষায় এর আগে মহানবী (সা.) চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে যেসব বই প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর আকরগ্রন্থ আসলে এই বই। বাংলাভাষায় এই বইয়ের অনুবাদ এর আগে হয়নি। অনুবাদ করেছেন শফিক ইকবাল। অনুবাদ ও সম্পাদনায় গ্রন্থটির মর্যাদা ও প্রামাণ্য বিষয়গুলোর যাতে এদিক-ওদিক না হয় সে ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে। খানাখাদ্যের অভ্যাস থেকে শুরু করে রোগবালাইয়ের চিকিৎসায় এই বই আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে অনেক অজানা বিষয় জানার সুযোগ করে দেবে এই বই। বারো শতকের বিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ইমাম ইবনে কাইয়িম আল জাউযিয়াহ (রা.)। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রা.) এর সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রগণ্য ছাত্র ছিলেন তিনি । শিক্ষক তাইমিয়ার সাথে কারাগারে যেতে হয়েছিল তাঁকেও। আইনশাস্ত্র, জ্যোতিষশাস্ত্র, রসায়ন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশেষভাবে জ্ঞানী ছিলেন তিনি। মহানবী (সা.) সারা জীবন নানা উপলক্ষ্যে সাহাবি ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে চিকিৎসার ব্যাপারে যেসব পরামর্শ দিয়েছেন সেসব সংকলিত করে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন ইমাম ইবনে কাইয়িম আল জাউযিয়াহ (রা.)। ইসলামের ইতিহাসে এবং চিকিৎসাশাস্ত্রে অক্ষয় হয়ে আছে তাঁর এই গ্রন্থ। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসের আলোকে লেখা প্রামাণ্য এই গ্রন্থটির মর্যাদা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রন্থটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য উজান প্রকাশন পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেছে এই বই। বাংলাভাষায় এর আগে মহানবী (সা.) চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে যেসব বই প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর আকরগ্রন্থ আসলে এই বই। বাংলাভাষায় এই বইয়ের অনুবাদ এর আগে হয়নি। অনুবাদ করেছেন শফিক ইকবাল। অনুবাদ ও সম্পাদনায় গ্রন্থটির মর্যাদা ও প্রামাণ্য বিষয়গুলোর যাতে এদিক-ওদিক না হয় সে ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে। খানাখাদ্যের অভ্যাস থেকে শুরু করে রোগবালাইয়ের চিকিৎসায় এই বই আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে অনেক অজানা বিষয় জানার সুযোগ করে দেবে এই বই।
আল্লামা ইবনু কাইয়্যিমিল জাওযীয়া (রহঃ) ছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ, ফকিহ, তাফসীরবিদ, হাদীসজ্ঞ এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের পণ্ডিত। তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু আব্দুল্লাহ্ শামসুদ্দ্বীন মুহাম্মাদ বিন আবু বকর বিন আইয়্যুব আদ দিমাশকী। তিনি ৬৯১ হিজরী সালে দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর পিতা দীর্ঘ দিন দামেস্কের আল জাওযীয়া মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বলেই তাঁর পিতা আবু বকরকে قيم الجوزية কাইয়্যিমুল জাওযীয়াহ অর্থাৎ মাদরাসাতুল জাওযীয়ার তত্ত্বাবধায়ক বলা হয়। পরবর্তীতে তাঁর বংশের লোকেরা এই উপাধীতেই প্রসিদ্ধি লাভ করে। ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়া (রহঃ)-এর স্নেহধন্য শিষ্য ছিলেন এবং শাইখের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি তাঁর সাথেই ছিলেন। এমনকি জিহাদের ময়দান থেকে শুরু করে জেলখানাতেও তিনি তাঁর থেকে আলাদা হননি। তিনি ইসলামী আকীদাহ, তাওহীদ, সুন্নাহ ও বিদআত-বিরোধী বিভিন্ন বিষয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তার মধ্যে তাওহীদ ও সুন্নাহের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, বিদআতের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং ইবাদত-বন্দেগীতে নিষ্ঠা ছিল অন্যতম। ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
"যাদুল মা‘আদ ফী হাদ্য়ী খাইরিল ইবাদ"
"মাদারিজুস সালিকীন"
"শিফাউল আলীল"
"তিবেব নববী" (চিকিৎসাশাস্ত্রে তাঁর অনন্য অবদান)
তাঁর উস্তাদ বৃন্দ -
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) যে সমস্ত আলেম-উলামার কাছ থেকে তালীম ও তারবীয়াত হাসিল করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেনঃ
শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়াহ (রহঃ)।
আহমাদ বিন আব্দুদ্ দায়িম আল-মাকদেসী (রহঃ)।
তাঁর পিতা কাইয়্যিমুল জাওযীয়াহ (রহঃ)।
আহমাদ বিন আব্দুর রহমান আন্ নাবলেসী (রহঃ)।
তাঁর ছাত্রসমূহ -
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) এর হাতে যে সমস্ত মনীষী জ্ঞান আহরণে ধন্য হয়েছিলেন, তাদের তালিকা অতি বিশাল। তাদের মধ্যে রয়েছেনঃ
বুরহান উদ্দ্বীন ইবরাহীম বিন ইবনুল কাইয়্যিম।
ইমাম ইবনে রজব (রহঃ)।
হাফিয ইমাম ইবনে কাছীর (রহঃ)।
তিনি একজন নিরলস সাধক, যিনি দীর্ঘ সময় ইবাদত করতেন, বিশেষ করে তাহাজ্জুদ ও কুরআন তিলাওয়াতে মগ্ন থাকতেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ইলমী ও আধ্যাত্মিক খেদমত মুসলিম উম্মাহর জন্য অমূল্য দান হয়ে রয়েছে। ইবনুল কাইয়্যিম ৭৫১ হিজরী সনে মারা যান এবং দামেস্কের বাবে সাগীর গোরস্থানে তাঁর পিতার পাশে দাফন করা হয়।