আমি দেখেছি আমাদের পৃথিবীতে আজও শত শত মাতা সততার সহিত রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাটি কাটে সন্তানদের জন্য। দিন মজুরির, বাসাবাড়ির পাহাড় কাটা, ইট-ভাটার কাজ থেকে আরো কত রক্ত ঝরা শ্রম, অক্ষম অপারগতায় ভিক্ষা করে পর্যন্ত নিজের সন্তানের শিক্ষণীয় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় মায়েরা রাত দিন এক করে পরিশ্রম করে! এই সমস্ত মায়েরাই আমাদের পৃথিবীতে সূর্যসম স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেন। শত দারিদ্র্যতার মধ্যেও কি আকাশসম হৃদয়ের অধিকারী! নিজে না খেয়ে দুমুঠো নিজের সন্তানকে, দুমুঠো অন্যের সন্তানকে দিতে মায়েদের মুখে হাসি যেন ¤øান হয় না! আমি দেখেছি এই সমস্ত মায়েদের সর্বস্তরের মানুষ-পশু-পাখি-মৃত্তিকা-দুর্বার জন্যও হৃদয়ে আশীর্বাদ-প্রেমদ্বার যেন চির উন্মুক্ত! সত্যিই মায়ের কোনো জাত হয় না। এখান থেকেই বুঝেছি আমি। এই সমস্ত মায়েরাই আমাদের ইহকাল থেকে পরকালের স্বর্গের দ্বার মনে করি। আমি দেখেছি আমাদের পৃথিবীতে আজও অহরহ চরিত্রবান শিক্ষার্থী আর্থিক অভাবের কারণে যারা কঠোর শ্রমের বিনিময়ে দু’বেলা খেয়ে না খেয়ে রাতদিন হাড় ভাঙা পরিশ্রমের বিনিময়ে নিজেদের লেখাপড়া চলমান রাখতে- অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন- জ্ঞান অর্জন করে। এই সমস্ত শিক্ষার্থী আমাদের সত্যিকারের শিক্ষার মেরুদÐ। তারাই পারবে আগামীর হতদরিদ্র অনাহারী শিশুর মুখে হাসি ফোঁটাতে, সুশিক্ষার একটি স্থান তৈরি করে দিতে। তারাই সর্বোচ্চ সক্ষম ভ‚মিকা রাখবে পৃথিবীতে সজিবতার সতেজতায় নব প্রজন্মের প্রাণের স্পন্দনের উজ্জ্বল ভ‚মিকা রাখতে।