যে কোনো প্রচলিত সামাজিক ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে সমাজজীবনে নবীন স্থিতি ও নব মূল্যবোধ স্থাপনা করতে হলে প্রাথমিক প্রয়োজন হচ্ছে লোকমানসের পরিবর্তন সাধন; এবং এই নতুন মনোভাবকে লোকজীবনের স্থায়ী রূপ দেবার জন্য এরপর প্রয়োজন হয় অনুক‚ল সামাজিক কাঠামো রচনা করা। নচেৎ লোকচরিত্রে পরিবর্তন আনার চেষ্টা না করে বা এই কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার না দিয়ে যেনতেন প্রকারে বস্তুস্থিতির বাহ্য রূপান্তর ঘটালে, হয় নবীনাদর্শের উদ্যোক্তাদের অবর্তমানে সেই উচ্চ জীবনাদর্শ অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়, আর নয়ত এই প্রক্রিয়ার অবসানে দেখা যায় যে যাত্রী পথভ্রান্ত হয়ে মূল লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ভুলের পুনরাবৃত্তি আমরা বার বার দেখেছি। তাই অতীত প্রয়োগের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আমাদেরই দেশের যে মহামানব মহান সাধ্য প্রাপ্তির জন্য সাধনশুদ্ধির উপর জোর দিয়ে বিপ্লব বাক্রান্তি আবাহনের পন্থায় বিপ্লব সাধন করলেন, তাঁর নাম মহাত্মা গান্ধী। লৌহবাসরের সূচিকা প্রমাণ ছিদ্রপথে অনুপ্রবেশ করে কালভুজ যাতে মানবসমাজের বহুদিনের কঠোর তপস্যা ও আশা-আকাক্সক্ষার অকাল মৃত্যু ঘটাতে না পারে, তারই জন্য গান্ধীজী বিচারক্রান্তির উপর এত গুরুত্ব আরোপ করলেন। নবীন বিচারধারা লোকমানসে আসন পরিগ্রহ করলে জাগ্রত জনমত স¦তঃস্ফ‚র্তভাবে প্রাচীন প্রথার বন্ধনমুক্ত হয়ে সমাজ দেউলে নবীন দেবতার আরাধনা করবে। এবং এ আবাহন হবে দীর্ঘকালস্থায়ী ও এর প্রক্রিয়াও হবে সর্বাপেক্ষা স¦ল্প-আয়াস-সাধ্য। যে কোনো প্রচলিত সামাজিক ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে সমাজজীবনে নবীন স্থিতি ও নব মূল্যবোধ স্থাপনা করতে হলে প্রাথমিক প্রয়োজন হচ্ছে লোকমানসের পরিবর্তন সাধন; এবং এই নতুন মনোভাবকে লোকজীবনের স্থায়ী রূপ দেবার জন্য এরপর প্রয়োজন হয় অনুক‚ল সামাজিক কাঠামো রচনা করা। নচেৎ লোকচরিত্রে পরিবর্তন আনার চেষ্টা না করে বা এই কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার না দিয়ে যেনতেন প্রকারে বস্তুস্থিতির বাহ্য রূপান্তর ঘটালে, হয় নবীনাদর্শের উদ্যোক্তাদের অবর্তমানে সেই উচ্চ জীবনাদর্শ অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়, আর নয়ত এই প্রক্রিয়ার অবসানে দেখা যায় যে যাত্রী পথভ্রান্ত হয়ে মূল লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ভুলের পুনরাবৃত্তি আমরা বার বার দেখেছি। তাই অতীত প্রয়োগের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আমাদেরই দেশের যে মহামানব মহান সাধ্য প্রাপ্তির জন্য সাধনশুদ্ধির উপর জোর দিয়ে বিপ্লব বাক্রান্তি আবাহনের পন্থায় বিপ্লব সাধন করলেন, তাঁর নাম মহাত্মা গান্ধী। লৌহবাসরের সূচিকা প্রমাণ ছিদ্রপথে অনুপ্রবেশ করে কালভুজ যাতে মানবসমাজের বহুদিনের কঠোর তপস্যা ও আশা-আকাক্সক্ষার অকাল মৃত্যু ঘটাতে না পারে, তারই জন্য গান্ধীজী বিচারক্রান্তির উপর এত গুরুত্ব আরোপ করলেন। নবীন বিচারধারা লোকমানসে আসন পরিগ্রহ করলে জাগ্রত জনমত স¦তঃস্ফ‚র্তভাবে প্রাচীন প্রথার বন্ধনমুক্ত হয়ে সমাজ দেউলে নবীন দেবতার আরাধনা করবে। এবং এ আবাহন হবে দীর্ঘকালস্থায়ী ও এর প্রক্রিয়াও হবে সর্বাপেক্ষা স¦ল্প-আয়াস-সাধ্য।