মানজুর মুহাম্মদের ‘একাত্তরের পাখি’ গ্রন্থটি কিশোর গল্পের জগতে এক নতুন সংযোজন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মানুষের পাশাপাশি পাখিও নিজ আঙ্গিকে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে বলে বিশ্বাস লেখক মানজুর মুহাম্মদের। সেই দিক থেকে বলা যায়, এই গ্রন্থ এক নবদিগন্তের উন্মোচন ঘটিয়েছে। এমন করে হয় তো আর কেউ ইতঃপূর্বে ভাবেননি। মহান স্বাধীনতায় বাংলাদেশের পাখিদেরও অবদান আছে। মানুষের মতো পাখিরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহিদ হয়েছে। ’একাত্তরের পাখি’ বইটির প্রতিটি গল্পেই রয়েছে সুন্দর সুন্দর বর্ণনা ও কাহিনি। আছে বাংলাদেশের পাখিদের সুন্দর সুন্দর নামগুলো। বাংলাদেশের নদী ও পাখির নামগুলো ছড়া-কবিতার মতো সুন্দর ও মনকাড়া। লেখক প্রতিটি গল্পই লিখেছেন নিসর্গ তথা পাখি ও প্রকৃতি নিয়ে। পাখি ও প্রকৃতি নিয়ে শিশুদের জন্য গল্প লিখতে হলে পাখি-প্রকৃতি নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হয়। এই বইয়ের প্রতিটি গল্পই আমি মনোযোগ সহকারে পড়ার পর বুঝে ফেলেছি, মানজুর মুহাম্মদের সে জ্ঞান পুরোপুরিই আছে। গল্পগুলোতে লেখকের মুন্সিয়ানা আছেÑ আছে চমৎকার বর্ণনা ও প্রকৃতি তথা পাখি সম্পর্কে গভীর ধারণা। গল্প বলার ঢংটাও ভারি চমৎকার। খুব সুন্দর কাহিনি তিনি বেছে নিয়েছেন ও পাঠককে টেনে নিয়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত। গল্পগুলোর শিরোনামও সুন্দর। এই গল্পগুলো পড়লে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সি পাঠকই পাখি ও প্রকৃতি সম্পর্কে যেমন ভালো ধারণা পাবেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকাময় দিনগুলোতে পাখিরা কেমন ছিল, সেই বিষয় সম্পর্কেও ধারণা লাভ করতে পারবেন। শরীফ খান, কথাসাহিত্যিক, পাখি ও বন্যপ্রাণী বিশারদ