১০ মে মঙ্গলবার ছিল আমাকে উদ্দেশ্য করে ঢাকায় একটি কাব্যিক সংবর্ধনা। এটি আয়োজন করে বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের সুপ্রিম কাউন্সিল। এ সংবর্ধনার উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকতায় আমার পঞ্চাশ বর্ষে পদার্পণ। এ উপলক্ষ্যে অবশ্য আমি বছরব্যাপী বেশ কয়েকটি সংবর্ধনা পেয়েছি এবং পাচ্ছি তবে এ অনুষ্ঠানটি ছিল একটি ব্যতিক্রধর্মী। আর এর নামকরণেই সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়। কাব্যিক সংবর্ধনায় কবিরা আমাকে নিয়ে কবিতার ছন্দে বক্তব্য রাখেন। তাই এতে আমি অভিভ‚ত হই। তবে আমি যখন বক্তব্য রাখি তখন কিন্তু এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারিনি। সে যাই হোক, এভাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল আমার জীবনে প্রথম। এ অনুষ্ঠানের পোস্টার যখন পাই তখন থেকেই মনের মধ্যে একটা আলাদা অনুভ‚তির সৃষ্টি হয়েছিল। এ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে এদিন যখন রওয়ানা দিই তখন ছিল ভারী বৃষ্টিপাত। রাস্তায় পানি জমেছিল খুব বেশি। তাই ড্রাইভারকে বলেছিলাম সতর্কতার সক্সেগ গাড়ি চালানোর জন্য। আমরা এদিন সকাল দশটায় যাত্রা শুরু করি ও সভাস্থলে পৌঁছই প্রায় ছয়টার সময়। অবশ্য অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল বিকাল পাঁচটায়। আমাদের বিলম্ব হওয়ায় এবং এদিন ঢাকাতেও বৃষ্টি হচ্ছিল তাই অনেকেই পৌঁছতে দেরি হয়। ঢাকায় অবস্থানরত আমার আমন্ত্রিত দুই জনের মধ্যে কেবল এটিএন বাংলার নিউজ প্রেজেন্টার আমার এক ভাতিজি অ্যাডভোকেট ফারজানা খান উপস্থিত হন।