১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড তাঁর ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ন করেনি। ক্ষুণ্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও অহংকারকে। প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে। আর অভিশপ্ত করেছে তাঁর হন্তারক নিকৃষ্ট গোষ্ঠীকে। আন্তর্জাতিক ‘জুলিও কুরি’ পদক দেওয়ার সময় যখন তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ নয় ‘বিশ্ববন্ধু’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল, তখন তিনি সবিনয়ে বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অবশ্যই বন্ধু কিন্তু আমাকে বঙ্গবন্ধুই থাকতে দিন। আমি জীবনে- মরণে একজন খাঁটি বাঙালি থাকতে চাই। বাঙালির যে হাজার বছরের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য, সেই শাশ্বত ঐতিহ্যকে আমি রাষ্ট্রে রূপ দিতে চেয়েছি। এই বাংলার রূপকার হওয়ার চাইতে অন্য কোনো বড় পরিচয় আমার দরকার নেই।’ জানোয়াররা তা হতে দেয়নি। তারা বাংলাদেশকে কক্ষচ্যুত করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের সাধনার স্বপ্নকে তারা নির্মূল করতে চেয়েছিল। তারা পারেনি। তাঁর রক্তের অদম্য উদ্ভাস শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে তাঁর স্বপ্নের পথে পরিচালিত করছেন। বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে উন্মোচিত হচ্ছে। অদম্যতায়, অনিরুদ্ধতায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা আজ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য নেত্রী। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের নেত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের জন্য অনিবার্য।