বর্তমানে প্রায় পরিবারে অশান্তি বিরাজ করছে। অথচ পরিবার হলো সমাজের ভিত্তি। যার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা। সেই হিসাবে পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ঘরে বউ-শাশুড়ির মেলবন্ধন, যৌথ পরিবার নাকি পৃথক সংসার, শিশুদের লালন-পালন, সব সদস্যের সাথে ইনসাফপূর্ণ আচরণ—এসব বিষয়ে বইটিতে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরি রহ.-এর আব্বু কখনোই হারাম খাননি। পালনপুরি রহ. নিজে নিজে হাফেজ হয়েছেন, বিয়ের পর স্ত্রীকে হাফেজা বানিয়েছেন। তাঁর পরিবারের ৩৯ সদস্যের মধ্য থেকে ৩৬ জনই হাফেজ। এত বড় সংসারেও কখনো বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্ব হয়নি। বরং শাশুড়ির কাছ থেকে পুত্রবধূরা সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করার সৌভাগ্য লাভ করেছে। এ ছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক আরও অনেক শিক্ষণীয় বিষয় বইটিতে উঠে এসেছে। কারও সামনে নজির থাকলে বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করতে সহজ হয়। তাই আদর্শ পরিবার গঠনে এই বইটি পড়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে বিবাহিত ভাই-বোন, প্রতিটি সংসারের অভিভাবক বা যারা বিয়ের স্বপ্ন বুনছেন, তাদের জন্য এটি পড়া আরও জরুরি। এর দ্বারা সাংসারিক জীবনের অনেককিছুরই সমাধান পেয়ে যাবেন, ইনশাআল্লাহ।