প্রাক্-কথন বঙ্গবন্ধুও বাংলাদেশ এ দুটি নাম যেন অবিচ্ছে্যে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে টুিঙ্গপাড়ার খোকা আজ বঙ্গবন্ধ,ুজাতির পিতা। একাত্তরের মুক্তিযুধ্ লাখ লাখ মানষু আত্মাহুতি দিয়েছেন তার নামে, লক্ষ বীরনারী সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছেন তার ডাকে। ইতিহাসের নিজের হাতে গড়া নেতা তিনি। আবার তিনি নিজের হাতে নতনু ইতিহাস তৈরি করে গেছেন। তাইতো তিনি বঙ্গবন্ধু, আর বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন বঙ্গবন্ধু। বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছিলেনÑ খোকা। গ্রামের মানষু ছাড়া কেউ তার জন্মের কথা জানেনি। এর পঞ্চান্ন বছর পর যখন ঘাতকদলের হাতে সেই খোকার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, তখন সারা বিশ্ব শোকে আ”ছন্ন হয়েছে। তিনি তখন টুঙ্গিপাড়ার খোকা নন, সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত একটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমান। জুলিও কুরি বিশ্ব শান্তিপদক লাভের সময় শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ববন্ধুহিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনকাল মাত্র পঞ্চান্ন বছর। এ পঞ্চান্ন বছরে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সুপ্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। অবলুপ্ত বাংলাদেশ ও বাঙালি এ দুটি নামের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। বাঙালি নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাঙালি জাতির অস্তিত্ব উদ্ধার করেছেন। কৈশোরে নিজের অজান্তেই তিনি মানুষকে ভালোবাসতে শেখেন। সমাজের স্বার্থান্ধ শোষকদের ঘণৃা করতে শেখেন। জমিদার ও জোতদার এবং মহাজনদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে শোষিত গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে তখন থেকেই তাকে দেখা যায়। এ জন্য তিনি কারাবরণও করেছেন। কিশোর মিজবের মধ্যে এ তেজ¯িত^ া দেখেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং কলকাতায় তাকে ডেকে এনে তার
জন্ম ২৭ জুলাই ১৯৭০। বাবা সুশীতল। দেব। মা মায়া দেব। শৈশব থেকে কবিতা লিখছেন। বাংলা। কবিতা নিয়ে ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর পূর্ব 'গােলার্ধ থেকে পশ্চিম গােলার্ধে। ইংরেজিসহ। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার কবিতা ।। সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘রেডটাইমস্ বিডি ডটকম' এর প্রধান সম্পাদক। প্রকাশিত গ্রন্থ ৩০টি।