দুটি কথা আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার-এই চার দেশের মধ্যে একটি কার র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। স্থল পথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সর্বোপরি জনগণের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধিই ছিলে মূল উদ্দেশ্য। এ কর্মযজ্ঞের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সিল্ক রুটকে খুঁজে বের করে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ। ভারতের কোলকাতা থেকে শুরু হয় র্যালির যাত্রা। বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্ত অতিμম করে যশোর- ঢাকা-সিলেট পার হয়ে আসামের করিমগঞ্জ-শিলচর-মণিপুর-মোরেহ-মিয়ানমারের তামু-কালে-মান্দালয়লাশিও- মুসে-চীনের রুইলি-তেংচং-ডালি অতিμম করে চীনের ইউনান রাজ্যের রাজধানী কুনমিং শহরে শেষ হয়। অংশগহ্র ণকারী ছিলো চার দেশের ৮০ জন সদস্য। তারা ছিলেন বিভিন ড়ব শে্ির ণ পেশার মানষু । ১৩ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ টিমের আমিও একজন সদস্য ছিলাম। ভ্রমণটি ছিলো বৈচিত্রে ভরপরু । ফেব্রু য়ারি-মাচর্ মাসে অনুিষ্ঠত ২ সপ্তাহের এই ভ্রমণে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার পথ অতিμম করতে হয়েছে। ভ্রমণের নান্দনিক অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৭৮ পৃষ্ঠারএকটি নাতিদীর্ঘ কাহিনি লিখেছিলাম সেই ২০১৪ সালে। কিন্তু দৈবদুর্বিপাকে কম্পিউটার থেকে পুরো লেখাটি উধাও হয়ে যায়! ফলে ওটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ২০২০ সালের কভিড-১৯ এর অলস সময়ে ¯ী¿ ইশরাত চৌধরু ীর উৎসাহ/পীড়াপিড়িতে আবার লেখা শুরু করি। ইতোমধ্যে স্মৃতি থেকে অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে। বলা যায় স্মৃতি হাতরিয়ে অনেকটা জোড়া- তালি দিয়ে একটি অসম্পূর্ণ লেখা পাঠকের সামনে হাজির করেছি। যা দেখেছি যা শুনেছি যা জেনেছি তা থেকেই যৎকিঞ্চিৎ উল্লেখ করেছি। কোন কোন বিষয়ে ধারণা বা অভিমত প্রকাশ করেছি যা কিছুটা আমার নিজের কিছুটা ইতিহাসের। লেখাটি গ্রন্থকারে প্রকাশের জন্য স্ত্রী ও দুই পুত্রের যথেষ্ট তাগিদ ছিলো। পান্ডুলিপি প্রস্তুত ও কম্পোজের ক্ষেত্রে আমার তিনজন একান্ত সহকারি যথাμমে সৈয়দা ইয়ারুনেড়বছা খানম, মঞ্জুরুল আলম তারেক ও আবদুর রহিম যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন। প্রুফ সংশোধনের ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা ও কাজী আমিনা সামসাদের অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। আর প্রকাশনার জন্য কবি সৌমিত্র দেবের ভূমিকা ছিলো অফুরাণ।