আত্মবিশ্বাস টর্চের মতো। রাতের আঁধারে টর্চের আলোয় পুরো পৃথিবীটা আলোকিত হয় না বটে, তবে অচেনা পথে চলার উপযুক্ততা তৈরি হয়। অনুরূপ যে কোনো নতুন কাজে কিছু না হোক শুধু আত্মবিশ্বাস থাকলে কাজটা শুরু করা সহজ হয়। আমাদের অনেকেই অনেক কিছু করতে চাই। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের অভাবে করতে সাহস পাই না। ভয় পাই, যদি কিছু হয়ে যায়, যদি ঠিক মতো করতে না পারি, যদি সফল না হই ইত্যাদি। নানা আশঙ্কায় ছেঁয়ে যায় আমাদের দোদুল্যমান অত্মবিশ্বাসহীন মন। ফলে আমরা আর সামনে এগিয়ে যেতে পারি না। যেখানে আছি সেখানেই থমকে যাই। মনকে বিশ্বাস করাতে পারি না যে, “আমিও সফল হবো কিংবা আমিও পারব।” শুধু আল্লাহর রহমতে মনের জোর থাকলেই যে কোন কাজ করা সম্ভব এটা আমরা মানতে রাজি নই। আমরা যারা এ জাতীয় ভাইরাস এ আক্রান্ত তাদের তরে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। প্রত্যাশা, বইটি এ জাতীয় ভাইরাস এর বিরুদ্ধে এন্টি-ভাইরাস হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি বইটিতে রয়েছে পৃথিবীর প্রাতঃস্মরণীয় মানুষদের শূন্য থেকে শিখরে ওঠার গল্প। যা আমাদের দুর্বল চিত্ত ও ঘুমন্ত সত্তাকে জাগিয়ে তুলতে জিয়নকাঠি হিসেবে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের জীবনকে করে তুলবে অরুণরাঙা।
বাংলাদেশের ইংরেজি প্রিয় শিক্ষার্থী ও পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম “শরীফ মুহাম্মদ ইউনুস” চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলাধীন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এই অসামান্য প্রতিভাধর লেখকের জন্ম। তিনি বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছারছীনা দারুসসুন্নাত আলিয়া মাদ্রাসা থেকে তাফসির বিভাগে স্নাতকোত্তর, ঢাকা আলিয়া থেকে হাদিস বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পাশাপাশি Bangladesh Islamic University থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে তিনি তার কর্মজীবনে শুরু করেন “বাংলার আজহার খ্যাত দেশের শ্রেষ্ঠ মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষিত ঐতিহ্যবাহী দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা”য় English Lecturer হিসেবে পাঠদান শুরু করেন। এছাড়াও তিনি দারুননাজাত আইডিয়াল মাদরাসার অন্যতম ডিরেক্টর হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। তিনি ইংরেজির উপর বিভিন্ন ক্লাসের দুর্বল শিক্ষার্থীসহ সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন বই যেমন: ইংরেজি গ্রামার, ইংরেজি টেক্সট বইয়ের উপর ব্যাখ্যামূলক ও ভোকাবিউলারি বই, রিটেন ও স্পোকেনের বই রচনা করে অল্প দিনে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। তাছাড়া ইসলামী বইয়েও তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি বক্তৃতার জন্য খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় “নাজাতের মঞ্চ” নামে একটি যুগান্তরকারী বই লিখেন। যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি করে। তার লেখা আত্মউন্নয়নমূলক বই “আকাশ ছোঁয়া আত্মবিশ্বাস” অনলাইন ও অফলাইনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি এখনো দেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষন দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও তিনি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন। তার স্বপ্ন ইংরেজি ভাষাকে সহজ ও সাবলীলভাবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করা। যার অধীনে থেকে হাজারো ছাত্র ইংরেজীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের নামকরা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে এবং করতেছে। তাঁর ইংরেজি ভাষার জ্ঞান ও দক্ষতা অতুলনীয়। সেই জ্ঞান মানুষের মাঝে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন উপায়ে।