এখানে যে গল্প আর রূপকথাগুলো পড়বে, সেগুলো আমি পড়েছি রুশ ভাষায়। এখানে একটি রূপকথা রয়েছে ইংল্যাণ্ডের, আরেকটি বেলারুশিয়ার। বাকিগুলো সব রাশিয়ার গল্প, রূপকথা আর লোককথা। তোমরা যারা গল্প শুনতে ভালোবাসো, তাদের কথা মনে রেখেই এগুলো বেছে নেয়া হয়েছে। আমাকে এই অনুবাদের কাজে যিনি সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন তিনি হলেন শিশু সাহিত্যিক মোস্তফা হোসেইন। তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে খাঁটো করব না। ঝিঙেফুলের সত্ত্বাধিকারী গিয়াসউদ্দিন খসরু সমস্ত কাজে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি তোমাদের সবাইকে খুব ভালোবাসেন। তার প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা। এ বই তোমাদের ভালো লাগলে আরো আরো গল্প, রূপকথা আর কথা নিয়ে ফিরে আসব তোমাদেরই কাছে। তোমাদের কাছে তো ফিরে নাসতেই হবে, কারণ তোমাদের বয়সে আমরাও সারাদিন গল্প শোনার জন্য দাদীমা, মায়ের কাছে বসে থেকেছি। সে কথা তো ভুলতে পারি না। তোমরা গল্প পড়তে পড়তে হয়ে ওঠো খাঁটি মানুষ-এই আমার চাওয়া। আর একটা কথা। শেষ মলাটে বইয়ের নামটা অদ্ভুত লাগছে না? এটা আসলে তোমাদের সাথে একটা খেলা। মলাটটি আয়নার সামনে তুলে ধর। কী দেখতে পাচ্ছ? হ্যাঁ, তোমরা মজাটা পাও, এটাই আমরা চেয়েছি।
জাহীদ রেজা নুর ছােটদের জন্য লিখছেন অনেকদিন ধরে ছেলেবেলা থেকেই শিশুসাহিত্য গুলে খাওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফলে, শিশুদের উপদেশ দেওয়ার চেয়ে শিশুদের কাছ থেকে উপদেশ নেওয়ার দিকেই তার ঝোঁক। প্রতি বছর একবার দলবলসমেত বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণে, তারপর সে ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লিখে ফেলেন উপন্যাস। সে উপন্যাসের নায়ক অবধারিতভাবেই শিশু বা কিশাের । বড়রাও থাকেন সে লেখায়, থাকতেই হয়, কিন্তু তারা কখনও মুখ্য হয়ে ওঠেন না। জন্ম ২৭ অক্টোবর। ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে পিএইচডি করেছেন। প্রথম আলাে পত্রিকায় কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। বিদেশি ভাষা থেকে শিশুদের জন্য অনুবাদ করার নেশা আছে। তার বইয়ের সংখ্যা ১৫ ছাড়িয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সিরাজুদ্দীন হােসেন তার বাবা। মা নূরজাহান সিরাজী। আটভাইয়ের মধ্যে সপ্তম তিনি। স্ত্রী, মেয়ে সনকা আর ছেলে শৌনককে নিয়ে তার সংসার। সারা জীবন ছােটদের মতাে করে ভাবতে চান তিনি। আর ভাবেন, ইস! যদি বড় হতে না হতাে!