আল্লাহ তায়া'লা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে জান্নাতে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে দুনিয়াতে নামিয়ে দিলেন। আর শয়তানকে মানুষের শত্রু হিসেবে পাঠিয়ে দিলেন। শয়তান আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ করেছিল যে, সে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তাদের অধিকাংশকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। শয়তানকে মানুষের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই পরীক্ষাতে যারা পাশ করবে তাদের জন্য পরকালে রয়েছে জান্নাত। আর ব্যর্থ হলে পরিণাম হবে জাহান্নাম। শয়তান দুনিয়ার মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে। খারাপকে ভালো বানিয়ে তার অনুসরণ করাচ্ছে এবং আল্লাহর বিধান থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তি জীবন থেকে আরম্ভ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল জীবনে আমরা আল্লাহর বিধান থেকে অনেক দূরে ও শয়তানের বিধানের খুব কাছে অবস্থান করছি। অধিকাংশ মানুষ জানেই না যে কোনটি ভালো কাজ আর কোনটি শয়তানের কাজ। এই অজানাকে পুঁজি করে শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টায় আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে রাখার কাজে ব্যস্ত। তাই আমাদেরকে শত্রু সম্পর্কে জানতে হবে, তার কাজ সম্পর্কে অবহিত হতে হবে ও শয়তানের চক্রান্ত থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। শয়তান আমাদের দুশমন। তার সাথে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। শয়তানের সাথে দুশমনি এবং লড়াই সংগ্রাম জান্নাত থেকে শুরু হয়েছে। আর এই সংগ্রাম আজীবন অব্যাহত থাকবে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সে আমাদের সাথে দুশমনি করবে। স্বাভাবিকভাবে শয়তানের সংখ্যা অনেক। কিন্তু বিশেষভাবে সকলের সাথে একেকজন শয়তান নিয়োজিত রয়েছে। শয়তানের পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি লেখক বইটিতে শয়তানের কাজসমূহ যেমন মানুষকে বিপদগামী করা, চক্রান্ত করা ইত্যাদি, শয়তানের অনুসরনের উদ্দেশ্য, অনুসারীদের পরিণতি এবং শয়তানের ধোকা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। লেখক, গবেষক, বরেন্য ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির ১৯৪৮ সালে সিলেট জেলার জকিগঞ্জে জন্মগ্রহন করেম/ মাওলানা আতাহার আলী খান ও তৈয়াবুন নেসা বেগন এর সন্তান মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির দির্ঘদিন থেকে নিষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে দেশে বিদেশে ইসলামের একজন দাঈয়ি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশী বিদেশী বিভিন্ন মসজিদে ঈমাম ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশাপাশি দাওয়াতুল ইসলাম ইউকে এর আমীর এবং সদস্য হিসেবে কাজ করেন। দ্বীনের একজন দাঈয়ি হিসেবে দ্বীনের প্রচারের অংশ হিসেবে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে তার ৫৫ টি বই প্রকাশের পথে রয়েছে।
লেখক, গবেষক, বরেন্য ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির ১৯৪৮ সালে সিলেট জেলার জকিগঞ্জে জন্মগ্রহন করেম/ মাওলানা আতাহার আলী খান ও তৈয়াবুন নেসা বেগন এর সন্তান মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির দির্ঘদিন থেকে নিষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে দেশে বিদেশে ইসলামের একজন দাঈয়ি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশী বিদেশী বিভিন্ন মসজিদে ঈমাম ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশাপাশি দাওয়াতুল ইসলাম ইউকে এর আমীর এবং সদস্য হিসেবে কাজ করেন। দ্বীনের একজন দাঈয়ি হিসেবে দ্বীনের প্রচারের অংশ হিসেবে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে তার ৫৫ টি বই প্রকাশের পথে রয়েছে। আল্লাহ্র নিয়ামত ও আমরা- বইটিতে লেখক মানুষের শরীরের সাথে সম্পৃক্ত জমিনের নিয়ামতসমূহ যেমন জমিন, পাহাড় পর্বত, পানি, সমুদ্র, মাছ ইত্যাদি এবং আসমানের নিয়ামতসমুহ যেমন আকাশ, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছেন- যা পাঠকদের জানার চাহিদা মেঠানোর সাথে সাথে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতরাজিতে অভিভূত করে রাখবে।