“অন্তরের চিকিৎসা” গ্রন্থে মানুষের আত্মোশুদ্ধির পন্থাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কিয়ামতের দিনে কুরআন আল্লাহর কাছে তেলাওয়াতকারীর জন্য এভাবে সুপারিশ করবে। এ ব্যাপারে একটি হাদিসে কুরআনের জবানবন্দি এসেছে : 'হে আমার প্রভু! আমার তেলাওয়াতই তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছে। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো।' রাসুল (সা.) বলেন : অতঃপর আল্লাহ তায়া'লা কুরআনের সুপারিশ কবুল করবেন। (মুসনাদে আহমদ) এছাড়াও কুরআনুল কারিমের রয়েছে অসংখ্য গুণাবলি। এর প্রতিটি দিকই মানবজীবনের জন্য এতই কল্যাণময় যা কল্পনার অতীত। এমন একটি মহাগ্রন্থকে আল্লাহ তায়া'লা জিকির হিসেবে উল্লেখ করেছেন—এটা তাঁর দয়া ও করুণার বহিঃপ্রকাশ। মানবজাতির প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশাল নিয়ামত। সর্বদিক বিবেচনায়ই সবচেয়ে বড় জিকির হলো আল্লাহ তায়া'লার কালাম বা কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত। তাই এ কুরআনকে বাস্তবায়ন করতে হবে ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত। এর জন্য মেনে চলতে হবে কুরআনের দাবিগুলো ।মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির খান একজন লেখক, দাঈয়ি, সংগঠক, শিক্ষাবিদ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দাওয়াতুল ইসলাম, ইউকে –এর একসময়ের আমীর মাওলানা কাদির খান সাহেব এর ইসলামের বিভিন্ন বিষইয়ে ৩৫ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আরো ২০ টি বই প্রকাশের পথে রয়েছে।
লেখক, গবেষক, বরেন্য ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির ১৯৪৮ সালে সিলেট জেলার জকিগঞ্জে জন্মগ্রহন করেম/ মাওলানা আতাহার আলী খান ও তৈয়াবুন নেসা বেগন এর সন্তান মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির দির্ঘদিন থেকে নিষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে দেশে বিদেশে ইসলামের একজন দাঈয়ি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশী বিদেশী বিভিন্ন মসজিদে ঈমাম ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশাপাশি দাওয়াতুল ইসলাম ইউকে এর আমীর এবং সদস্য হিসেবে কাজ করেন। দ্বীনের একজন দাঈয়ি হিসেবে দ্বীনের প্রচারের অংশ হিসেবে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে তার ৫৫ টি বই প্রকাশের পথে রয়েছে। আল্লাহ্র নিয়ামত ও আমরা- বইটিতে লেখক মানুষের শরীরের সাথে সম্পৃক্ত জমিনের নিয়ামতসমূহ যেমন জমিন, পাহাড় পর্বত, পানি, সমুদ্র, মাছ ইত্যাদি এবং আসমানের নিয়ামতসমুহ যেমন আকাশ, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছেন- যা পাঠকদের জানার চাহিদা মেঠানোর সাথে সাথে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতরাজিতে অভিভূত করে রাখবে।