ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে এর রয়েছে স্বকীতায় সমুজ্জ্বল ভারসাম্যতা এবং নান্দনিকতা। বিদায় হজ্বের ভাষণের দিনই আল্লাহ তায়া'লা একে নেয়ামতে সিক্ত করেছেন। পরিপূর্ণ জীবনবিধান হিসেবে এর প্রাসঙ্গিকতা কিয়ামত পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এজন্য এই জীবনবিধান অনুসরণের মধ্যেই দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের মুক্তি নিহিত। আমাদের প্রিয়নবী (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্যই ছিল মানবজাতিকে ইসলামের প্রতি আহবান করা। মহান আল্লাহর নির্দেশে তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ফিরিয়ে আনা। রাসুল (সা.) তাঁর তেইশ বছর নবুয়াতি জীবনে সেই কাজটিই যথাযথভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন। নবী জীবনের প্রধানতম কাজ ছিল-মানবজাতিকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া। আর এই দাওয়াতকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই রাসুল (সা.)-কে অনেক জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর চিন্তাচেতনার মধ্যে এই দাওয়াত নিয়ে ধূম্রজাল এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও দাওয়াতের পথ ও পদ্ধতি কী হওয়া উচিত—এ নিয়েও শেষ নেই বিতর্কের। ইসলামী জীবনব্যবস্থায় দাওয়াত হচ্ছে মূলপ্রাণ। অন্তঃসারশূন্য বস্তু নিয়ে যেমন আত্মগৌরবের সুযোগ নেই, তেমনই দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে মুসলমানের মুক্তির কোনো পথ ও পন্থা অবশিষ্ট নেই। দাওয়াত দ্বীনের অন্যতম অনুষঙ্গ যা দ্বীনকে পূর্ণতায় পৌঁছিয়ে দেয়। এটা বিশেষত এই জন্যে যে, দাওয়াতের মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ের পথ প্রশস্ত হয়। দাওয়াতই হচ্ছে মুমিনের ঈমানের মানদণ্ড। মুসলিম উম্মাহ দাওয়াতকে প্রধান কাজ হিসেবে বেছে নিলে তাদের হৃত আত্মগৌরব আবারো ফিরে আসবে। দাওয়াত নিয়ে আলোচনা আবশ্যকীয় একটি বিষয়—যা মুসলিম উম্মাহর মূল চেতনার সঙ্গে একীভূত। ধারাবাহিকভাবে এর আলোচনা বেশ প্রাসঙ্গিকতায় আবদ্ধ। বইটিতে লেখক ইসলামে দাওয়াতের পদ্ধতি, একজন দাঈর গুণাবলী, নবী- রাসুলের দাওয়াতের ক্রমধারা অনুসরন এবং নবীগনের দাওয়াতের বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির খান একজন লেখক, দাঈয়ি, সংগঠক, শিক্ষাবিদ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দাওয়াতুল ইসলাম, ইউকে –এর একসময়ের আমীর মাওলানা কাদির খান সাহেব এর ইসলামের বিভিন্ন বিষইয়ে ৩৫ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আরো ২০ টি বই প্রকাশের পথে রয়েছে।
লেখক, গবেষক, বরেন্য ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শরিফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির ১৯৪৮ সালে সিলেট জেলার জকিগঞ্জে জন্মগ্রহন করেম/ মাওলানা আতাহার আলী খান ও তৈয়াবুন নেসা বেগন এর সন্তান মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আব্দুল কাদির দির্ঘদিন থেকে নিষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে দেশে বিদেশে ইসলামের একজন দাঈয়ি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশী বিদেশী বিভিন্ন মসজিদে ঈমাম ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশাপাশি দাওয়াতুল ইসলাম ইউকে এর আমীর এবং সদস্য হিসেবে কাজ করেন। দ্বীনের একজন দাঈয়ি হিসেবে দ্বীনের প্রচারের অংশ হিসেবে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে তার ৫৫ টি বই প্রকাশের পথে রয়েছে। আল্লাহ্র নিয়ামত ও আমরা- বইটিতে লেখক মানুষের শরীরের সাথে সম্পৃক্ত জমিনের নিয়ামতসমূহ যেমন জমিন, পাহাড় পর্বত, পানি, সমুদ্র, মাছ ইত্যাদি এবং আসমানের নিয়ামতসমুহ যেমন আকাশ, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছেন- যা পাঠকদের জানার চাহিদা মেঠানোর সাথে সাথে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতরাজিতে অভিভূত করে রাখবে।