আমি কোন ক্রিটিক না, এসে রাইটার থেকে যেইটা আলাদা। আমি নিজের এসেগুলারে কালচারাল কাজ বইলা মনে করি। এইগুলা লিখা দরকার ছিল, এই সেন্স থেকে এইগুলা লিখা হইছে। …আর্টের একটা মেইন কাজ হইলো অপোনেন্টের কনশাসনেসরে শক্ত কইরা তোলা। ওইটা আমারে রিলেটিভলি অদ্ভুত কাজ বাইছা নিতে হেল্প করছে। আমি ধইরা নিছিলাম যে কালচার নিয়া লিবেরাল মতামত একই থাকবে- আমি লায়োনেল ট্রিলিংয়ের বিশাল ফ্যান ছিলাম আর এখনো আছি। ভাবছিলাম যে প্লেফুল বা এক্সপেরিমেন্টাল কাজ ট্র্যাডিশনাল ভালো বইগুলারে থ্রেট করবে না। কিন্তু লেখালেখির গত তিরিশ বছরে টেস্ট এত খারাপ হয়া গেছে যে সিরিয়াসনেসের পক্ষ নিয়া কথা বলতে যাওয়াটারেও মানুষ খারাপভাবে দেখে৷ কোন কিছু নিয়া সিরিয়াস হওয়া, বায়াসড না হয়া প্যাশন দিয়া কোনকিছুর কেয়ার করার ব্যাপারটা মানুষ বুঝতেই চায় না। …লিটারেচার আমাদের লাইফ নিয়া এডুকেট করে ঠিকই। কিছু বই না থাকলে আমি আজকে আমি হইতাম না, আমি যা বুঝি তা বুঝতাম না। নাইন্টিন্থ সেঞ্চুরি রাশিয়ান লিটারেচারের সেই গ্রেট প্রশ্নটার কথা ভাবতেছি- মানুষের কেমনে বাইচা থাকা উচিত? যেই নভেলটা পড়ার মত, সেই নভেলটা আমাদের বাইচা থাকতে শিখায়। মানুষ হয়া আপনি কী কী করতে পারেন, এই সেন্সটারে বড় কইরা দেখায়, মানুষের নেচার কী, দুনিয়াতে কী হয়- এইসব শিখায়। নিজের একটা পরিচয় বানায়া দেয়।… নারীদের সংখ্যা যতই হোক, নারীদের সবসময়ই কালচারালি মাইনরিটিই ধরা হয়। মাইনরিটিদেরকেই আমরা একটা সিংগেল পয়েন্ট অফ ভিউ অ্যাসাইন কইরা দেই। গড, নারীরা চায়টা কী? এটসেটরা। আমি যদি চারজন পুরুষের কথা দিয়া নভেলটা শেষ করতাম, কেউ ভাইবা নিত না আমি মেইল পয়েন্ট অফ ভিউ দিতেছি, কারণ চারজনের কথা চাররকম হইত। নভেলের যে কোন চারজন পুরুষের ভয়েস যেমন আলাদা হইত, এই নারীদের ভয়েসও তেমন আলাদা। সবাইই যার যার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে কাহিনি বা তার কিছু অংশ আবার বলে, যেইটা রিডার অলরেডি জানেন। সবারই একটা কইরা সত্যি বলার আছে।