ইসলামের নিকট মানব জাতির কী ঋণ আছে, সেই কথাটা কতকটা বুঝাবার জন্যই ‘মুহাম্মদ (স.) : দ্য গ্লোরি অব ইসলাম’ গ্রন্থ লিখতে প্রয়াসী হয়েছি। ইতিহাসের অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করে এই সত্যটা বুঝেছি যে ইসলামের প্রচার দ্বারা জগতের মহাউপকার সাধিত হয়েছে এবং এখনও যদি ইসলাম ধর্মাবলম্বীগণ ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যগ্র থাকেন, তবে তাদের দ্বারা জগতের উন্নতিই হবে। ইসলাম কৃষ্টির পরিপোষক হলে, মানব সভ্যতা বৃদ্ধির সহায় হতে পারে, তাতে সন্দেহ নাই। তারা যদি হযরত মুহাম্মদের (স.) ন্যায় বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হতে পারেন এবং নিজের জীবন শুদ্ধ করতে প্রয়াসী হন, তবে অন্য লোকেরা তাদের শত্রুতা করে কিছু ক্ষতি করতে পারবে না। হযরত মুহাম্মদ (স.) যেভাবে দরিদ্রতাকে বরণ করে জীবন ধারণ করতেন এবং যেভাবে সর্বদা পরের সুখসুবিধা অন্বেষণ করে নিজের জন্য ব্যস্ত হতেন না, সেইরূপ পরার্থপর জীবন যাপন করলে হযরতের বিশ্যত্ব লাভ হতে পারে না। কেবল কথায় আমি বিশ্বাসী হলে, বিশেষ লাভ হবে না। কাজে ও জীবনে বিশ্বাস প্রমাণ করতে হবে। মুসলমান ধর্মের গৌরব যারা বৃদ্ধি করে গিয়েছেন তাঁদের জীবন অনুকরণ করতে হবে। তাঁদের মহত্ব কোথায় বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। তাঁরা যে দরিদ্রতাকে বরণ করেই মহত্ব লাভ করেছিলেন, একথা জানতে হবে। যে সব ব্যক্তি জ্ঞানে, কি অন্য বিষয়ে, মহত্ব লাভ করেছিলেন তাঁদের কাজপ্রণালি বিচার করে আমাদের জীবন-পথে অগ্রসর হতে হবে। বালক-বালিকারা যাতে সেই মহত্ব কতকটা বুঝতে পারে তজ্জন্য একটু চেষ্টা করা আমার উদ্দেশ্য।