গুন্টার গ্রাসের বিশ্ববন্দিত ধ্রুপদী উপন্যাস ‘বিড়াল ও ইঁদুর’-এর সময়কাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। পোল্যান্ডের ডানসিগ শহরের সমুদ্র উপকূলবর্তী একটি অঞ্চলে পিলেন্স ও তার ডানপিটে বন্ধুরা নানা কাণ্ডে মেতে থাকে। পিলেন্সের প্রিয় বন্ধু মালকে এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। বিচিত্র দীর্ঘ কণ্ঠনালির জন্য বিব্রত থাকত মালকে। কাহিনির শুরুতেই তার ওই চলমান গলার নলিটি একটি বিড়ালকে বিশেষভাবে আকর্ষিত করে, শুরু হয়ে যায় বিড়াল ও ইঁদুরের খেলা। নিজের এই শারীরিক ত্রুটি ঢাকা দেবার জন্যে মালকে নানারকম শারীরিক কলাকৌশল দেখিয়ে বন্ধুদের মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত। দুর্বল মানুষ সে অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে হয়ে উঠল সাঁতারু। ওস্তাদ ডুবুরি হিসেবে আবিষ্কার করল জলে-ডোবা জাহাজ। এরপর ‘নাইট-ক্রস’ মেডেল অর্জন করার জন্যে সে যোগ দিল মিলিটারিতে, শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করল যথেষ্ট পরিমাণে। কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণ হল না কেন? মিলিটারিতে ফিরে গেল না কেন মালকে? জলে-ডোবা জাহাজের একটি কামরায় নিজেকে লুকিয়ে ফেলল কেন সে? বিশ্বজুড়ে কুড়িটির বেশি ভাষায় অনূদিত গুন্টার গ্রাসের এই উপন্যাস ইঙ্গিতে বিপন্নতার কথাই বলে।