বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিঘাস ও ১৮০ ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি/প্রোফাইল এই প্রথমবারের মতো মলাটবন্দি হলো। পেছনে পড়ে রইল গত বিশ বছরের ব্যান্ড সংগীতবিষয়ক লেখালিখি, তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধান, গবেষণা, রাতের পর রাত জেগে চুলচেরা বিশ্লেষণ, লেখা কাটাকুটি, বিয়োজন-সংযোজন আর সম্পাদনার গল্পগুলো। সব প্রস্তুতির পরও আরও একবার দেশের সব ব্যান্ডের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়। অভূতপূর্ব সাড়া মেলে ব্যান্ডের সবার কাছ থেকে। যাচাই-বাছাই করে তৈরি করা হয় ব্যান্ডগুলোর সঠিক বায়োগ্রাফি। যেসব ব্যান্ডের কোনো অস্তিত্ব আজ আর নেই, তাদের তথ্য নেয়া হয় ব্যান্ডসংশ্লিষ্ট মিউজিশিয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনেক গল্প আর একটি বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে ‘বাংলার রক মেটাল’ আজ বাস্তব। তিনটি ভাগে সাজানো হয়েছে এ বই। প্রথমাংশে ষাটের দশক থেকে শুরু করে আজকের সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের পটভূমি, ইতিহাস, পথচলা ও নানা পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে ১৮০টি ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি ও প্রোফাইল। প্রোফাইলগুলো সাজানো হয়েছে ব্যান্ডগুলোর জন্মসাল ক্রমান্বয়ে–পুরোনো ব্যান্ড থেকে নতুন ব্যান্ড! দেশের সব প্রখ্যাত ব্যান্ডের পাশাপাশি কিছু সম্ভাবনাময় নতুন ব্যান্ডের প্রোফাইল রাখা হয়েছে। এ অংশে প্রতিটি ব্যান্ডের অ্যালবাম ও গানের তালিকা ডিস্কোগ্রাফি আকারে সন্নিবেশ করা হয়েছে। আর তৃতীয় অংশে রয়েছে বামবা-র সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যান্ডের তালিকা।
মিলু আমান। জন্ম ঢাকায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪। বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, মা ফার্মাসিস্ট। সাত ভাইবোনের মধ্যে লেখক সর্বকনিষ্ঠ। লেখালিখির হাতেখড়ি নব্বই দশকের মিউজিক ম্যাগাজিনের মাধ্যমে। বিভিন্ন সময়ে লিখেছেন দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। পেশা হিসেবেও লেখালিখিই বেছে নেন, কপিরাইটার হিসেবে কাজ করেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। সংগীতের নেশা কখনো ছাড়তে পারেননি, তাই কাজ করেন এফএম রেডিওতেও। মিলু আমান তার লেখায় সংগীতের বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য দিয়ে থাকেন । ২০১৭ সালের বইমেলায় লেখকের প্রথম বই ‘রক যাত্রা’ প্রকাশিত হয়। লেখকের দ্বিতীয় বই ‘গানের মিলন’ প্রকাশিত হয় পরবর্তী বছর। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘ফ্লয়েডিয়ান’। দেশের ব্যান্ড ইতিহাস নিয়ে ২০২২ সালে লেখক হক ফারুকের সাথে প্রকাশ করেন ‘বাংলার রক মেটাল' ।