“মুক্তিযু্দ্ধ ৭১ বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাস” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা: ১৯৭১ বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসে একটি মাইলফলক। সে বছর সংঘটিত হয় বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার চূড়ান্ত লড়াই মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র অধ্যায়। ১৯৪০ সালের লাহাের প্রস্তাবের ভিত্তিতে দেশটা যদি ভাগাভাগি হতাে, পরবর্তীকালে ইিতিহাস ও মানচিত্র রচিত হতাে অন্যভাবে। পাকিস্তান-পাঞ্জাবি কূটচক্রের ষড়যন্ত্র ও হীনম্মন্যতার কাছে পরাজিত হয় এদেশের নেতৃবৃন্দ। ইতােমধ্যে স্পষ্ট হয়, সাতচল্লিশের দেশবিভাগেই নিহিত ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত স্বপ্ন। স্বাধীনতার পরপরই বাঙালি জাতি বুঝতে পারে শাসকগােষ্ঠী ভিন্নজাতি, বাঙালি কেবল শশাষিত। পাকিস্তানিরা ধর্মের খােলসে শাসনদণ্ড হাতে চেপে বসেছে বাঙালির কাঁধে। তারা স্বাধীনতার প্রথম প্রহরেই বাঙালির বিশ্বাসের নাভিমূলে আঘাত করে মুখের ভাষার ওপর চাপিয়ে দেয় নতুন হুকুম : ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এর পরের ইতিহাস রক্ত দিয়ে গড়া রক্তের ইতিহাস। ১৯৭১ বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসের চূড়ান্ত এক সন্ধিক্ষণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঠিক নির্দেশ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, তাঁর ৭ই মার্চের দৃপ্তকণ্ঠের প্রত্যায়ী ঘােষণা : “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”, “যার যা আছে তা । নিয়েই তােমরা শত্রুর মােকাবেলা করবে” আদর্শে উজ্জীবিত জাতি আর ভুল করেনি। রচিত হয় বাঙালি জাতিসত্তার নতুন ইতিহাস। সেক্টর কমান্ডার-মুক্তিযােদ্ধা-গবেষকবিশ্লেষকের কলমে রচিত এসবের লিখিত রূপ: মুক্তিযুদ্ধ '৭১ : বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাস।