নাছিম সাহেব হাসছেন শব্দ করে। তাঁর হাসিটা একেবারে খোলা দরজার ভিত দয়ে আসা ন যেন চৈত্রের বাতাস, যা সবকিছুকে উড়িয়ে নিয়ে নানা জায়গায় ফেলে আসে এবং সেজন্য কারও কোনো দিন ক্ষোভ হয় না। নাসিম সাহেব হাসছেন। হাতে তাঁর সেই লাল গোলাপ দুটি, যা কিছুক্ষণ আগে চার সন্তানের জননীকে তাঁর এক বন্ধু উপহার দিয়ে গেছেন। হামিদা সেই ফুল ফিরিয়ে দেওয়ার আগেই তিনি তখন হামিদার বাসা থেকে রাস্তায় উঠে গেছেন। হামিদা অবাক হয়ে ভাবে। হামিদা জানে, ফুল হলো ভালোবাসার প্রতীক। কিন্তু সে বুঝতে পারছে না, হঠাৎ করে এতদিন পর বন্ধুর মনে কেন ইচ্ছা জাগল ফুল দিয়ে তার সংসারে একটা 'কিন্তু'র জন্ম দানে সহায়তা করতে। তাঁরও বউ-ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার রয়েছে। তাঁর স্ত্রী একটা নামকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। দু'জনই এম.এ. পাশ, একথা স্বামীর মুখে শুনেছে হামিদা। আর সেই স্থলে হামিদার পড়াশোনা একটা ছোট্ট গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পিতার কাছেই পাঠ গ্রহণ। তবে পিতা তাকে বারবার বলতেন, দেখো হামিদা, শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের ডিগ্রি দিয়ে মানুষ উঁচুতে উঠতে পারে না- যদি তার দৃষ্টিভঙ্গিতে ঔদার্য না থাকে। পিতার এই একটি কথাকে হামিদা তার শিক্ষায় অশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তাই এই ফুল সে স্বামীর কাছ থেকে লুকোয়