জীবন কী? এ জীবন আমরা কেন পেলাম? পৃথিবীতে কী উদ্দেশ্যে আমাদের পাঠানো হয়েছে?—এসব দার্শনিক প্রশ্নের উত্তর বহুকাল ধরেই মানুষ খুঁজে ফিরছে।br অবশ্য যিনি আমাদের পাঠিয়েছেন, সেই মহান আল্লাহ-ই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রেখেছেন কুরআন কারীমে। এ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানোর উদ্দেশ্য শুধু তাঁর ইবাদাত করা। স্রেফ এটুকুই, আর কিছু না। br এই ইবাদাতের জন্যে তিনি আয়ুষ্কাল দিয়েছেন। সময়কে ভাগ করে দিয়েছেন বছর-মাস-সপ্তাহ ইত্যাদি এককে। এক সময়ের ওপর আরেক সময়কে শ্রেষ্ঠত্বও দিয়েছেন।br আমাদের এই দুনিয়ার জীবন কিছু ঘণ্টা-মিনিট-সেকেন্ডের সমষ্টি মাত্র। সময়কে উপযুক্ত খাতে ব্যয় করা তথা ইবাদাতে বিনিয়োগ করার মধ্যেই দুনিয়ার জীবনের সার্থকতা। আর এটাই জীবনকে কাজে লাগানো।br কুরআন-সুন্নাহ’র আলোকে জীবনকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তার একটা প্র্যাক্টিকাল গাইডবুক ‘জীবনকে কাজে লাগান’ বইটি। প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে রচিত কিতাব থেকে অনূদিত এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে মহান রবের জন্যে বছরের বারোটি মাস কীভাবে নিবেদিত করা যায়, তারই নমুনা। বারো মাসের করণীয়-বর্জনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক আমল, সেগুলোর দলিল-ভিত্তিক আলোচনা—সব মিলিয়ে ইবাদাত-বন্দেগির এক চমৎকার নির্দেশিকা ‘জীবনকে কাজে লাগান’।
Title
জীবনকে কাজে লাগান - (মুখতাসার লাতায়িফুল মাআরিফ গ্রন্থের অনুবাদ)
ইমাম ইবনে রজব আল-হাম্বলী ছিলেন একজন মুসলিম বিদ্বান। তার পুরো নাম: জাইনুদ্দীন আবুল ফারাজ আব্দুর রহমান ইবনে আহমাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনেুল হাসান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবি আল-বারাকাত মাস'উদ আস-সুলামি, আল-বাগদাদি, আল-হাম্বলী। তিনি ইবনে রজব নামেই সুপরিচিত। ইমাম ইবনে রজব জন্মগ্রহণ করেন বাগদাদে ১৩৩৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৩৬ হিজরি)। তার বয়স যখন পাঁচ, ইবনে রজবের পরিবার দামেস্কে স্থানান্তরিত হয় তিনি ইবনে আন-নাকীব (মৃত্যু ৭৬৯ হিজরি), আস সুবকি, আল ইরাকি (৮০৬ হিজরি), মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাইল আল খাব্বাজ এবং প্রমুখ বিদ্বানের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ইমাম আন-নববী রহঃ কর্তৃক রচিত প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "চল্লিশ হাদিস" এর একটি বৃহৎ ব্যাখ্যা (শরাহ) ইবনে রজব রচনা করেছিলেন (জামি' আল-উলুম ওয়াল হিকাম) যা আজ পর্যন্ত চল্লিশ হাদীছের শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যা গ্রন্থ হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। ৭৯৫ হিজরি সনের চতুর্থ রমযানের পবিত্র এক রাতে (১৩৯৩ ঈসায়ী) মৃত্যুবরণ করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। মৃত্যুর পর দিন তার জানাযার সালাত অনুষ্ঠিত হয় এবং তাকে সমাহিত করা হয় বাব আস-সাগীর কবরস্থানে।