আদালত চত্বরে বসে থাকা ছোট্ট মেয়েটির নাম অরিন। সে জানে না সে এখন কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে। তার বাবা কি তাকে নিতে আসবে নাকি তাকে রেখে পালিয়ে গেছে ? কত অনিশ্চিত মানুষের জীবন। তারচেয়ে অনিশ্চিত ভালোবাসা! অর্ণব অরিনকে জিজ্ঞেস করে, 'পৃথিবীতে সবচেয়ে তুচ্ছ কাজ কী জানেন ? 'কী ?' 'মানুষের মন ভাঙ্গা।' 'মানুষের মন ভাঙ্গা!' 'হ্যাঁ। কারণ মন ভাঙ্গার কোন বিচার নেই। এর জন্য কোনো আইন প্রণয়নও হয়নি। তাহলে বিষয়টা তুচ্ছ না ?'
বই থেকে--- একটা নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। খাটের ইঞ্চি ছয়েক উপরে পা দুটো ঝুলানো। জিব্বা খানিকটা বের হয়ে আছে। উপরের পাটির দাঁত গুলো যেন কিছুটা জিব্বার ভেতরে ঢুকে গেছে। চোখ দুটো উল্টে গেছে। অদ্ভুতভাবে উপরের দিকে তাকিয়ে আছে মাথা নিচু করে। চারপাশে কান্নার রোল পড়ে গেছে। পাশের রুমে মায়ের আর্তনাদ। 'রিফাত, বাবা এ কি করলি তুই! আমাদের ছেড়ে কোথায় গেলি? আমাদের কথা কি তোর একবারও মনে পরল না?' পুলিশ এসে লাশ নামালো। কেউ আর রিফাত নাম মুখে নিচ্ছে না। সবাই লাশটা, লাশটা বলে ডাকছে। যেমন- লাশটা কোথায়? লাশ কী নামানো হয়েছে? লাশের কি অবস্থা? কি আজব দুনিয়া! মারা গেলে মুহূর্তেই নামটা বদলে যায়। কবর দেওয়ার আগ পর্যন্ত নাম থাকে লাশ। কবর দেওয়ার পর----- পরে নাম কি? মুর্দা। লাশের পকেটে একটা চিরকুট। তাতে লেখা-------