ক্রিকেট নিয়ে ইদানীংকালে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। নানা কথা, নানা কল্পনা। জাতিগত বিপুল বিস্ময়ের এক জগৎ তৈরি হয়ে আছে। নিজেকে যত বেশি গতিশীল করে রাখা যায়। ক্রিকেটার এক দেবরূপ। তার এক সেরা হবার প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা ক্রীড়ার প্রধান ধারা। একাল-সেকালের রাজনৈতিক পরিক্রমায় বিশ্বে ক্রিকেট প্রবাহ উল্লেখ্য হয়ে আছে। স্বাধীনতা পূর্বকালে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভাবনার বাইরে এই অন্যরকম পাকিস্তানের ক্রিকেট ময়দান। যেখানে জাতিগত লড়াই থেকে দর্শন-মনোবল সচেষ্ট থেকেছে। জয়-পরাজয়ে দোলাচলে উত্তেজনা প্রকট হয়ে উঠেছে। বদরুল হুদা চৌধুরী ছিলেন সাংবাদিক ও ক্রিকেটের অনন্য ধারাভাষ্যকার। আজ পৃথিবীব্যাপী ক্রীড়া ধারাভাষ্য সমাদৃত। যা জনপ্রিয় করে তুলেছে ক্রিকেটকে। ক্রীড়ার প্রতি অন্তর্গত পাঠ ও অভিজ্ঞতা থেকে বদরুল হুদা চৌধুরী লিখেছেন তবু ক্রিকেট ভালবাসি। এটি একটি মৌলিক বই। ক্রিকেট সম্পর্কিত এক শিল্পচিন্তার মার্জিনে লিখেছেন খেলার ব্যবস্থাপনার কিছু কথা। এতে তৎকালীন ক্রিকেট সম্পর্কে ধারণা পাঠক হিসেবে আমাদের কৌতূহল উদ্দীপক করে তুলে। ১৯৬৬ সালে রচিত বইটিতে সংগত কারণেই তদানীন্তন ‘পূর্ব পাকিস্তানে’র প্রেক্ষাপটে এসেছে। তবুও মনোযোগী পাঠক খেয়াল করবেন যে প্রচ্ছন্নভাবে অনাগত বাংলাদেশের ক্রিকেটটিও যেনো তাঁর স্বপ্নে ধরা দিয়েছিল। এই বইয়ের নামকরণের ‘ভালবাসি’ বানানের আদিরূপ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। যাতে প্রচ্ছদ ও বইয়ের আদি অবস্থার সাথে এখনকার পাঠক পরিচয় ঘটে।