উন্নয়নের সাথে অর্থনীতি সরাসরি সম্পৃক্ত। ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিত্ত-বৈভব-বিলাস যেমন জৌলুস বুঝায়, অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি তেমনই ফ্যাকাসে ভাব নিয়ে উন্নয়নকে ম্যাড়মেড়ে প্রতিনিধিত্ব করে। ব্যাপক ফারাক জাগায়। সরল বিশ্বাসকে নির্জীব করে। এক জায়গায় অপার চাহিদা; অন্যস্থানে তা মৌলিক নিশ্চয়তা। পূর্বের অবস্থান উত্তরণ ঘটানোর জন্য বিদ্যমান চলমান রহস্যময় পরিস্থিতি তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী শক্তিতে মোকাবিলা করতে হয়। সার্বভৌম অধিকার অর্জনে বিশ্বের শক্তিধর নানা সংগঠনের শর্ত-তত্ত্বের বিপুল বেড়াজাল ছিন্ন করতে হয়। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে আদর্শ ভেবে ব্যতিক্রম-কিছু উদাহরণ ছাড়া ভাবনাবিস্তারি সবই হয়েছে। বাস্তবতার তর্জনী ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। অবস্থানের বিস্ময়কর পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্বপ্রেক্ষাপট বিবেচনায় আলোচিত ‘টেকসই’ শব্দটি অপরিহার্য করতে আপনভাবে সর্বসাধ্য পরামর্শ এখানে আলোচিত হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে। তড়িৎগতির প্রভাব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হয়েছে। মানবপুঁজি আহরণ ও সঞ্চয়ের ওপর জোর দিতে তারুণ্যশক্তিকে অধিকতর সহায়তার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তিযুক্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রের বিভোর স্বপ্নে অর্থ-সম্প্রীতির বিকাশধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাগ্রে অপরিহার্য ‘মধ্যবিত্ত থেকে গরিব হওয়া ঠেকানো’। প্রাসঙ্গিকভাবেই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভৌত ও মানবীয় সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ আলোকপাত হয়েছে। নীতি-নির্ধারণী মহল ও পাঠকসমাজ মূল্যায়নপূর্বক উপকৃত হবে; এ সাহসী আকাক্সক্ষা অধিক, ততোধিক।