“নিশ্চয় বনূ ইসরাঈল বাহাত্তরটি দলে বিভক্ত হয়েছিলো। আর আমার উম্মত তিহাত্তরটি দলে বিভক্ত হবে। তাদের মধ্যে মাত্র একটি দল ব্যতীত অন্য সকলেই জাহান্নামে যাবে”। ছাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রসূল, সেটা কোন দল? তিনি বললেন: “আমি ও আমার ছাহাবীগণ যেই মত ও আদর্শের উপরে আছি, এই আদর্শের উপরে যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে”। ইমাম তিরমিযী তার সুনানে (৫/২৬, হা/২৬৪১), আজুররী আশ শারী’আহ (৫১ পৃষ্ঠা), লালকায়ী শারহু ‘ইতিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ এর (১/১০০), ত্বাবারানীসহ আরও অনেকে এই হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, হাদীছটি সম্মিলিত সকল সনদের ভিত্তিতে হাসান পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীছটিকে হাসান বলেছেন। এই হাদীছটি প্রমাণ করে যে, (শেষ উম্মতের মধ্যে) বহু মত ও আদর্শের জন্ম হবে। আর ছাহাবীগণের আদর্শের ওপরে যারা চলবে একমাত্র তারাই ক্বিয়ামতের দিবসে মুক্তি পাবে। এই দলগুলোর মধ্যে কোন দলটি ছাহাবীগণের মতাদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত? বাস্তবিকপক্ষে সেই দলটি হলো ‘আহলুল হাদীছ ওয়াস সুন্নাহ। এরাই হলো একমাত্র সাহায্যপ্রাপ্ত ও নাজাতপ্রাপ্ত দল। আর হে সম্মানিত পাঠক! আলোচ্য কিতাবে এই বিষয়ের প্রমাণ তুমি অচিরেই দেখতে পাবে। ‘একমাত্র আহলুল হাদীছগণই হলো সাহায্যপ্রাপ্ত ও নাজাতপ্রাপ্ত দল’ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই কিতাবে। আর এই কিতাবে প্রকৃত আহলুল হাদীছ কারা, তাদের মত ও পথ এবং তাদের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ‘আল্লাহ যেনো আমাদেরকে প্রকৃতপক্ষে এবং বাস্তবিক অর্থেই আহলুল হাদীছ এর অন্তর্ভুক্ত করে দেন’ এটাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। এই বিষয়ে তিনিই একমাত্র অভিভাবক ও প্রকৃত ক্ষমতাবান। আমাদের নবী – মুহাম্মাদ – ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -, তাঁর পরিবার পরিজন ও তাঁর সকল ছাহাবীগণের উপর আল্লাহর ছ্বলাত ও সালাম বর্ষিত হোক।