“বেলুন থেকে বিমান : আকাশযানের কথা” বইয়ের সূচিপত্র * দেব-দেবীর শূণ্যে ওড়াউড়ি * ঘুড়ি,বেলুন আর এয়ারশিপ * গ্লাইডারের কথা * অবশেষে এগিয়ে দেয়া বলে শট করে * কীভাবে এবং কেমন করে * পরিবর্তন আর পরিবর্তন * মেঘের পরে মেঘ জমেছে * যন্ত্রের কথা * অগ্রগতি আর অগ্রগতি * আমাদের দেশের বিমান চলাচলের ইতিহাস * হেলিকপ্টারের কথা * এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং এরোপ্লেনের নিরাপত্তার কথা * কনকর্ড সুপারসনিক যাত্রীবাহী এরোপ্লেনের কথা * ভূমি নৈকট্যের সতর্কীকরণ যন্ত্র * পাইলট হবে কেমন করে? * উইগ ক্রাফট * আকাশযানের বিস্ময়কর বিকাশ * ইঞ্জিনের অকল্পনীয় শক্তি বৃদ্ধি * নতুন ও পুরাতন বিমানের বিলাসিতার পার্থক্য * ড্রিমলাইনার এরোপ্লেনের স্বপ্নযাত্রা * আধুনিকতম ফাইটার ও বোম্বার * উপসংহার
ভূমিকা এই বই যখন লিখি, তখন আকার বা কলেবরে কিছুটা সংক্ষিপ্ত করে লিখতে হয়েছিল। বিস্তারিত করে লেখার ইচ্ছেটা অপূর্ণ থেকেছিল পেশাগত ব্যস্ততার কারণে। তাই ‘বেলুন থেকে বিমান’-এর প্রথম সংস্করণ শেষ হওয়ার পরে , কেবল প্রকাশক হিসেবেই নয়, একান্ত সুহৃদ হিসেবেও মফিদুল হকের অনুরোধ ছিল, বিমান-প্রযুক্তির অগ্রগতি বিষয়ক সর্ব শেষ তথ্যাদি সন্নিবেশ করে আমি যেন বইটির সম্পূর্ণতা দান করি। তাঁর এই অনুরোধ যুক্তিসঙ্গত মনে হওয়ার পরেও পেশাগত কর্মব্যস্ততা তখনো ছিল বলে সেটা আর করা হয়ে উঠে নি। অবশেষে সেই ব্যস্ততার অবসান ঘটলো্ আমার দীর্ঘ পেশাগত জীবন থেকে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণের পর। মনে করেছিলাম অখণ্ড অবসরে বইটি ভালো করে লিখবো দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য; কিন্তু ব্যাপারটা হলো উল্টো। দেখলাম ,অখন্ড অবসর আলস্যের অনিবার্য উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার জীবনে। তারপরও মফিদুল হকের অনুরোধে আলস্যের বাধা অতিক্রম করার চেষ্টা করেছি। তাই বলবো, নতুন কলেবরে বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য আমার চেয়ে তাঁর অবদানই বেশি। আর একজনের নাম না করলেই নয় । তিনি বাংলাদেশ বিমানের টেকনিক্যাল বিভাগের প্রধান ফ্লা্ইট ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আলম। তাঁর রয়েছে তথ্য-প্রযুক্তিগত অগাধ বিদ্যা। এই বইয়ের নতুনভাবে সংযোজিত অংশের জন্য তিনি অনেক বৃদ্ধি দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রন্থের কলেবর বৃদ্ধি, ফলত মূল্যেরও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা থেকে তাঁর দেয়া তথ্যের অল্পৈই ব্যবহার করেছি; কিন্তু যেটুকু ব্যবহার করেছি ; সেজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তাঁর কাছে। সবশেষে এই গ্রন্থের ভাষাগত পরিমার্জনার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি শিশু-সাহিত্যিক বন্ধুবর আখতার হুসেনকে । গ্রন্থটি যাদের জন্য রচিত , সেসব কিশোর বন্ধুদের ভালো লাগলে পরিবর্ধিত সংস্করণের রূপটি তাদের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হলে, লেখক হিসেবে কৃতার্থ বো্ধ করার সঙ্গত কারণ ঘটবে। আলমগীর সাত্তার
আলমগীর সাত্তার জন্ম : বরিশাল, ২৭ জুলাই ১৯৩৯ পেশা : ১৯৬৫ সালে পাইলট হিসেবে পিআইএ-তে যােগদান, '১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বীরপ্রতীক সম্মাননা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের উদ্বোধনী ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন। ২০০০ সালে বাংলাদেশ বিমানের ডিসি-১০ প্লেনের ক্যাপ্টেন হিসেবে অবসরগ্রহণ। '১৯৭২ সাল থেকে লেখালেখি শুরু। '১৯৮৩ সালে প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। আইয়ুব খানের কুমির শিকার। পরবর্তীকালে ইয়াহিয়া খানের কৃষ্ণ সারমেয়, কৃষ্ণ অপ্সরা, উড্ডীন কড়চা, আকাশপথে দিনরাত্রি, সত্তায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, রম্যবীণা বাজেরে, বেলুন থেকে বিমান প্রভৃতি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পেশা ও নেশার কারণে পৃথিবীর বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন। লেখার বিষয়বস্তু : ভ্রমণকথা, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, শিল্প-সমালােচনা, সামাজিক জীবনের স্ববিরােধিতা ইত্যাদি। বর্তমানেও লেখালেখির সঙ্গে জড়িত আছেন।