বর্ষা মেয়ের হাসি পয়লা আষাঢ় মেঘ আকাশে ঢাকনা কোকিল কালো উড়ন্ত মেঘ উত্তরে যায় মেলে দিয়ে পাখনা, টাপুর-টুপুর বিষ্টি ধারায় কাক-কোকিলের পাখা ভিজে যাক না। বিষ্টি ভেজায় আনন্দ পায় মনের সুখে নেচে বেড়ায় কিশোর ছেলে মাকনা।
কদম ফুলের পাপড়ি ভিজে ভিজে হলুদ-সাদা রঙবাহারি কী যে! চতুর্দিকে যায় ছড়িয়ে অন্যরকম রূপ পাতার ফাঁকে কোকিল ও কাক ঝগড়া ভুলে শান্ত ও নিশ্চুপ, পাতায় পাতায় বিষ্টি ঝরার শব্দ নিপুণ টাপুর টুপুর টুপ।
প্রকিতির’ এই বর্ষা মেয়ে ঘুমায় মেঘের দেশে আষাঢ় এলেই হিমালয়ে ব্যাকুল হয়ে ডাকে যাওয়ার পথে কেঁদে কেঁদে বিষ্টি শুধু ঝরায় আমার মায়ের শাড়ি ভেজায়, নদীও যায় ভেসে জলে ভাসা নদী ছোটে, সাগর ডাকে আয়Ñ বাড়তি পানি দে’না ঢেলে আমার বিশাল গায়।
এলোমেলো মেঘের ডানায় ঝগড়া লাগে, ঘুর্ণিবায়ুর কী যে দাপট, ঝাপটা মারে ঐ আকাশে বারে বারে বজ্রপাতে বিজলি চমক বর্ষা মেয়ের হাসি ছড়িয়ে পড়ে আগুন আগুন আগুন জ¦লে, ছড়ায় হুড়মুড়িয়ে বিষ্টি নামে বিষ্টি নামে মুসল ধারায় বিষ্টি কি আর থামে!
অথই পানি জমতে থাকে কদম-কেয়ার তলে অঝর ধারায় বিষ্টি ঝরায় রাস্তা ঘাটে কাদা-পানি জমে পথিক পথে হাঁটতে গিয়ে পিছলে কাদায় পড়ে কষ্ট ভীষণ, কষ্ট বুকে হাঁপায় দমে দমে।
পাখির ডাকে দোয়েল কোয়েল কোকিল শ্যামা এসব পাখি গাছেই করে বাস সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতে ডেকে ডেকে মন করে উদাস।
রাতের শেষে কাকডাকা ভোর জাগে ঢাকনা দেয়া কুয়াশাতে ঘোমটা পরা মুগ্ধ সকাল বেলা সূর্য উঠার একটু আগে দোয়েল শ্যামা শিস দিয়ে যায় খোকন সোনার পড়ার টেবিল জাগে কুসুমভাগে।
কোকিল বড়ই চালাক পাখি পরের বাসায় ডিম পাড়ে সে গাছের ডালে পাতার ফাঁকে চুপটি করে বসে থাকে করুণ সুরে করে ডাকাডাকি সুরের যাদু যায় ছড়িয়ে, সবাই শুনে থাকি বসন্তকাল খুশির দিনে আনন্দে গায়, ডালে বসে লেজ নাড়ে সে।