মানুষের জীবনে হাসি কান্না একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষ দুঃখ পেলে কাঁদে, আনন্দ পেলে হাসে। চিকিত্সা শাস্ত্র মতে মানুষের জন্য দুটোই প্রয়ােজন আছে। শুধু আনন্দ হাসি এবং শুধু দুঃখ কান্না কোন জীবন হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, হাসি কান্নার সমন্বয় নিয়েই জীবন। নবী রাসুলগণ মানুষ ছিলেন। তাদের জীবনে হাসি কান্না ছিল। সাহাবায়ে কিরাম ( রাঃ ) গণের জীবনেও হাসি কান্না লক্ষ্য করা যায়। তাই হাসি-কান্না একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আল কুরআনে হাসির চেয়ে কান্নার পরিমাণ বেশী হবার-তথ্য পাওয়া যায়। কারণ দুনিয়ার সামান্য কয়েকদিনের জীবনে গােনাহ খাতাগুলাে দূর করার জন্য কান্নার পরিমাণ বেশী করতে হবে। সুরা-তওবা ৮২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে তাদের উচিৎ কম হাসা ও বেশী কাঁদা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি যা জানি তা যদি তােমরা জানতে তা হলে কম হাসতে, বেশী কাঁদতে। বিশেষ করে জলীলুল কদর সাহাবীদের জীবন অনুসন্ধান করে দেখলে দেখা যায়, তারা রাতের বেলায় চোখের পানি ফেলে কাঁদতেন, রাতে তারা খুব কমই ঘুমাতেন। এমনকি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য শুনে উপস্থিত ক্ষেত্রেই ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতেন। আখেরাতের ভয়াবহ শাস্তির চিত্র তাদেরকে তা থেকে বাঁচার জন্য সব সময় ব্যস্ত রাখত। কুরআন মাজিদের বর্ণনা অনুযায়ী তাদের পিঠগুলাে তাদের বিছানা থেকে আলাদা থাকত। আজও ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের জীবন চিত্র পর্যালােচনা করলে দেখা যায় তাদের হাসির চেয়ে কান্নার পরিমাণ বেশী। আর হাসলেও হাে হাে করে না হেসে মুচকি হাসা উচিত। কারন এটাই সুন্নাত। তাই আমাদেরও সংক্ষিপ্ত জীবনের বাকী দিনগুলােতে হাসির চেয়ে কান্নার পরিমাণ বৃদ্ধি করে অনেক দিনের লম্বা জীবন আখেরাতের জীবনকে সুখময় করে গড়ে তুলতে হবে।