ফ্ল্যাপ ফরহাদ মজহার, কবি নামে খ্যাত, কিন্তু কাজ করেন বিজ্ঞান ও আর্থ-সামাজিক গবেষণার নানা ক্ষেত্রে। কাব্যের সঙ্গে বিজ্ঞান, রাজনীতি ইত্যাদির ভেদ খুব একটা মানেন না। নেশা কৃষি ও ভাবচর্চা : নয়াকৃষি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কৃষি বা প্রকৃতি আর নবপ্রাণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলার সাধক ধারার ভাবর্চচা। সে কারণেও কখনো বিজ্ঞান, কখনো কাব্য, কখনো গান। ভাবুকতা সবসময় সঙ্গী, কারণ নতুন সম্ভাবনা, প্রতিশুতি পালন ও পরিবর্তনের জন্যই তো ভাব। এই ভাব সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নতুন রাজনীতির। দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় তাঁর রাজনৈতিক, দার্শনিক লেখালেখির সঙ্গে পাঠকেরা পরিচিত। গল্প করতো আর আড্ডা দিতে ভালবাসেন। কথাবার্তার মধ্যেই তত্বচর্চা হয়, যদি কাজের সঙ্গে তার যোগ থাকে। কীভাবে দর্শন বা ভাবকে তিনি জীবনচর্চার অংশ করে ফেলেন আর বিপ্লবী রাজনীতির ক্ষেত্রকে ক্রমাগত সপ্রাণ ও বিস্তৃত করে তোলেন এই বইটি তার সাক্ষী।
সূচি ভূমিকা ধর্মতত্ত্ব, ধর্ম ও মানুষ ধর্ম মাত্রই কি নিপীড়নমূলক? নাস্তিকতা এবং ধর্ম : এঙ্গেলস ও লেনিন কার্ল মার্কস, নাস্তিকতা : পর্যালোচনার নতুন দিগন্ত এক ব্রক্ষ্ণ দ্বিধা ভেবে মন আমার হয়েছে পাজি ’’আফিম’’ কেচ্ছা : আসলে মার্কস কী বলেছিলেন এগারো নম্বার থিসিস, ধর্ম ও রাজনৈতিক কপটতা ’ইহুদিদের মুক্তির প্রশ্নে’ : রাষ্ট্র ও ধর্মের সম্পর্ক ’ইহুদিদের মুক্তির প্রশ্নে : ধর্ম ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক বিচার ধর্ম ও রাষ্ট্র অথবা রেল লাইন বহে সমান্তরাল সমাজ ও রাষ্ট্র : নাগরিকদের এখনকার ‘’ধর্মতাত্ত্বিক’’ প্রকল্প ধর্ম ও আধুনিকতা
জন্ম ১৯৪৭ সালে, নোয়াখালী। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা : ঔষধশাস্ত্র ও অর্থনীতি, প্রিয় স্মৃতি : মাইজদী কোর্ট, প্রিয় স্থান : বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা নয়াকৃষির বিদ্যগাঘর। তিনি একজন বাংলাদেশি কবি, কলামিস্ট, লেখক, ঔষধশাস্ত্রবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বুদ্ধিজীবী, সামাজিক ও মানবাধিকার কর্মী এবং পরিবেশবাদী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে ওষুধশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের দি নিউ স্কুল ফর সোশাল রিসার্চ থেকে অর্থশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সামাজিক অর্থনীতিতেও গবেষণা করেছেন। চিন্তা নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক মজহার উবিনীগ এনজিও গঠন করে নয়াকৃষি আন্দোলনও শুরু করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ হল: প্রস্তাব, মোকাবিলা, এবাদতনামা ও মার্কস পাঠের ভূমিকা।