বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান⎯একটি নাম, একটি সংস্কৃতি, একটি দেশ। একজন বাঙালি হিসেবে স্বীকার করতেই হয়, বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ নামের এই দেশটির উত্থান সম্ভব ছিল না। তাঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি বাঙালির হাজার বছরের শৌর্যবীর্যের দুর্মর প্রাণশক্তিতে ভরপুর বাঙালি সংস্কৃতির প্রামাণিক দলিল। এক হাজার একশত সাত শব্দে গাঁথা এই ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিকামী বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে। অর্জন করেছে একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, একটি সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশ। ৭ই মার্চের ভাষণের সেই শব্দ নিয়ে গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত প্রথম প্রবন্ধটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে যাঁরা যুগ যুগ ধরে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন, বাংলা সাহিত্য যাঁদের কাছে ঋণী, সেই শক্তিমান লেখকদের মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০- ১৮৯১) অন্যতম প্রধান। পাণ্ডিত্য, উদারতা, সমাজ-সংস্কার, অনুবাদ, মৌলিক রচনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তিনি সাহিত্যের আদর্শ তুলে ধরে জাতীয় জীবনকে সুন্দররূপে গড়ে তোলার মানসে অন্য ভাষার সাহিত্য থেকে কয়েকটি গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ করে বাংলা সাহিত্যে অনুবাদের ধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম সহজ-সরল ভাষায় বাংলা সার্থক অনুবাদ সাহিত্যের গোড়াপত্তন করেন। বিদ্যাসাগরের এই অনুবাদ সাহিত্য নিয়ে একটি প্রবন্ধ এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
Title
৭ই মার্চের ভাষণে শব্দের রূপবৈচিত্র ও অনান্য প্রবন্ধ