আধুনিক যুগ ধর্মহীনতার যুগ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের যুগ। আধুনিক জীবনের রূপরেখার মূল পুঁজি হচ্ছে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ। জীবনকে যাপনের উৎসবে স্রষ্টার মোকাবেলায় ব্যক্তিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে। ব্যক্তির এই নব উত্থান— ঈশ্বর হয়ে উঠার স্পর্ধা— মনুষ্য সমাজ বিকাশে আদৌ ভূমিকা রাখছে কিনা, সত্যপ্রেমীদের তা বিবেচনা করা উচিত। সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, সংকটময় এই সময়ে ‘প্র্যাক্টিসিং মুসলিম’ সত্যান্বেষী পাঠকের জন্য রচনা করেছেন লেখক নাদিউজ্জামান রিজভী।বাংলাদেশের শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমান। কিন্তু মসজিদে সালাত আদায়কারী মুসলিমের সংখ্যা খুবই নগণ্য। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে সচেতনতাবোধ নেই। আমাদের এই হতভাগ্যতার কারণেই ধর্মহীনতার জোয়ারে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত তরুণ জীবন। আর এ হারিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, ইলমের স্বল্পতা। যে জানে না, তাকে ভুল বোঝানো সহজ। সে জানে না, সে সর্বদা প্রতারণার স্বীকার হয়। আর এভাবে দীনের মৌলিক জ্ঞান না থাকার কারণে অসংখ্য মেধাবী তরুণ দীন থেকে ছিটকে পড়ছে, ইসলামবিদ্বেষী হচ্ছে। প্রসঙ্গত, “প্র্যাক্টিসিং মুসলিম” এমন একটি বই যেখানে ইসলামের মূল ভিত্তি তথা মৌলিক আকিদা ও বুনিয়াদি বিষয়— সালাত, সিয়াম, হজ্জ, যাকাত— তদ্বসংশ্লিষ্ট আধুনিক ভ্রান্ত বিশ্বাসের— নিহিলিজম, সেক্যুলারিজম, ফেমিনিজম, হিউম্যানিজম, লিবারালিজম— ইসলামী দৃষ্টিকোণ উল্লেখ রয়েছে।ফলস্বরূপ, দীনে ফিরে আসা তরুণেরা ইসলামের মৌলিক বুনিয়াদি বিষয়াদি জানার পাশাপাশি আধুনিক ভ্রান্ত আকিদা এবং শরিয়তবিরোধী প্রবণতাগুলো সম্পর্কেও অবগত হতে পারবে। প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হওয়ার প্রথম পাঠ হিসেবে বইটি সত্যান্বেষী পাঠকদের উপকৃত করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।