সাংবাদিকতার বীজ মনের অলিন্দে হয়তো-বা রূপিত হয়েছিল নিজের অজান্তে। ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পত্রিকা ‘দৈনিক আজাদ’এ তাঁর হাতে খড়ি ১৯৭৩ সালে। অর্জিত অভিজ্ঞতা ক্রমেই পাকাপোক্ত হতে থাকে ঢাকার সাপ্তাহিক আখবার, সাপ্তাহিক গণবাংলা, সাপ্তহিক খবর, দৈনিক দেশবাংলা, দৈনিক বাংলার মুখ, দৈনিক শক্তি প্রভৃতি পত্রিকায় কর্মরত থেকে। অবশেষে তিনি থিতু হন দেশের প্রাচীনতম, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা সাপ্তাহিক যুগভেরীতে। সাংবাদিক গিয়াসউদ্দিন আউয়াল সাংবাদিকতার অঙ্গণে কাঠখড় পোড়াতে পোড়াতে সাহিত্যাঙ্গণেও বিচরণ করেছেন। তাঁর সম্পাদিত ও প্রকাশিত গ্রন্থসমূহে তাঁর সাহিত্য প্রতিভা, সাংবাদিকতা, দক্ষ সম্পাদনা ও প্রকাশনার স্বাক্ষর বহন করছে। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং সংকলিত গ্রন্থে তাঁর লেখা স্থান পেয়েছে। গিয়াসউদ্দিন আউয়াল এর রচনাসমগ্র “অগ্রন্থিত বিরচন”: ১৯৭৩-২০২১ পর্যন্ত রচিত তাঁর অগ্রন্থিত লেখাগুলো নিয়ে। এসব রচনায় তিনি তুলে ধরেছেন কীর্তিমানদের জীবন কথা, তাঁদের কৃতি ও কৃতিত্ব। দেশ বরেণ্য সমাজ সংসার বরেণ্য সিলেটের আলোকিত ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্বের অমর কীর্তি গাঁথা। গিয়াসউদ্দিন আউয়াল সিলেটের অতীত ঘেটেছেন। অতীতের সাথে বর্তমানের সেতু বন্ধন তৈরি করতে কাজ করেছেন। এ গ্রন্থে উপস্থাপিত প্রতিটি নাম, প্রতিটি জীবন ও কর্ম সিলেটের কিংবদন্তী হয়ে এসেছেন আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাতে। ভবিষ্যৎ গবেষকদের সঠিক তথ্যের যোগান দেবে এসব লেখা।