আলীম মাহমুদকে আজকের দিনে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি যে কাজটি করেছেন- তা একটি অসাধারণ কাজ। সাহিত্য-সংস্কৃতির একটি মূলধারা সম্পর্কে আমরা এতকাল অজ্ঞাত ছিলাম- আলীম সেটি সূচনা করলেন। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ভাষাকে নিগৃহীত করে চলেছি, অপমানিত করে চলেছি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এতকাল পূর্বের নিদর্শন চর্যাপদকে আলীম চর্যাগানে রূপ দিয়ে সত্যি এমন একটি অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করেছেন- যা আমাদের ভাষার গৌরবকে উচ্চগামী করেছে। কামাল লোহানী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, সাংবাদিক সাবেক মহাপরিচালক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ...................................................................................................... .... এই অসম্ভব কাজটি করার সাহসিকতা দেখে আলীম মাহমুদকে পাগলই বলতে হয়। তবে এ পাগল ঐতিহ্যের জন্য, পাগল শেকড় সন্ধানের জন্য। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদে যেমন আছে গান, তেমনি আছে নৃত্যর, আছে তেমনি নাটক। এসবই দেড় হাজার বছর আগের ঐতিহ্য। সুতরাং আমাদের সংগীত, নৃত্যকলা ও নাট্যকলা আমাদের প্রাচ্যেরই নিজস্ব সম্পদ। এগুলো পাশ্চাত্য থেকে ধার করা নয়। আলীম মাহমুদ কিন্তু সেই বিষয়টি নিয়ে একটি সাহসী কাজ করে আমাদের সংগীত, নৃত্য, নাটকে সমৃদ্ধ করেছেন। হ্যাঁ, এটি হয়তো বলা যাবে যে, চর্যাপদ থেকে চর্যাগানে রূপ দিতে আলীম মাহমুদ মৌলিক সুরটি যথাযথভাবে আরোপ করতে পেরেছেন কি না। কিন্তু এটি নিঃসন্দেহে বলা অযৌক্তিক হবে না যে, তিনি তার সূচনা করেছেন। ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ভাইস চ্যাঞ্চেলর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জ