তেরো থেকে তেইশে তরুণ-তরুণিরা খুব কঠিন সময় পার করে। এ সময়ে ওরা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যায়। ওদের আবেগ, রাগ, অবাধ্য আচরণ সবকিছু অভিভাবকের জন্য বিশেষ যন্ত্রণার কারণ। বড়োরা কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারেন না যে, কেনই-বা ওরা রাগ করছে, কেন-ই বা তর্ক করছে আর কেনই-বা এমন অবাধ্য আচরণ করছে, কেনই-বা দিনের পর দিন বিষণ্নতায় ভুগছে। এরকম একটা অদ্ভুত পরিস্থিতিতে সন্তান যত বেশি insensitive আচরণ করে, অভিভাবক তত বেশি oversensitive হয়ে পড়েন। সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখাতে বা ভদ্র বানাতে অভিভাবক বেছে নিচ্ছেন শারীরিক শাস্তি, সমালোচনা বা নিষ্ঠুর কোনও পদ্ধতি আবার কখনও কখনও প্রয়োজনের চেয়ে দিচ্ছেন অতিরিক্ত আদর আহ্লাদ। যা সন্তানকে ভালো করার বদলে আরও বেশি অস্থির করে তুলছে। অতিরিক্ত শাসন, শারীরিক শাস্তি, সমালোচনা করা এসবই খুব পুরোনো পদ্ধতি যেগুলো এই gen Z-এর জন্য কোনওভাবেই প্রযোজ্য নয়। সময় পালটেছে, প্রযুক্তি সন্তানের জীবনে এনেছে উল্লেখযোগ পরিবর্তন। এই সময় আসলে সন্তান লালন-পালনের জন্য অভিভাবকদের হতে হবে আরও স্মার্ট। Effective parenting বা positive parenting হল সন্তান লালন-পালনের জন্য স্মার্ট কৌশল। একমাত্র effective parenting বা positive parenting চর্চার মাধ্যমেই সন্তানের মনের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব এবং সন্তানরাও স্বেচ্ছায় বাবা-মাকে ভালোবাসতে ও দায়িত্ববান হতে শিখবে। অতিরিক্ত শাসন ও শারীরিক শাস্তি ছাড়াই ওদের আচরণে আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন।