কবি লায়লা আহমে সেলিনা, মনে মননে আপামস্তক একজন কবি। কবিতার স্বপ্নে বিভোর তিনি। মননশীল মানুষের হৃয়ের ঠিকরে পড়া জ্যোতির নাম— কবিতা। কবির মনের অলিে› ঘুরপাক খাওয়া প্রেমদ্রোহ আর বেনার শৈল্পিক প্রকাশ ঘটে কবিতায়। তেমনই ধারায় কাব্য সৃষ্টি করে চলেছেন কবি লায়লা আহমে সেলিনা। কবি তার কবিতায় জীবন জগত আর পারিপাশ্বিকতাকে ধারণ করেই কবিতার —বল্লরী সাজান হৃয় ছোঁয়া কথার অপরূপ কারুকার্যে। আপ্লুত প্রাণের আন› আর ব্যর্থ প্রাণের বেনার্ত ভাবনাগুলো কবির কথা হলেও ঠিক যেন কবির নয়, পাঠকের মনের কথা। তাই কবির কবিতা পাঠকের কাছে তার নিজের আন› বেনার আলেখ্য। কবিতায় থাকা চাই শব্দ কিংবা ভাবনার অন্তমিল। বিষয় ভাবনার শুরুটা শেষ করা কবিতায়। কবিতায় রূপকের ব্যবহারে বাক্যের যে ব্যঞ্ছনা তৈরী হয়, তাহাই মানুষকে ভাবায়, বোধের জগতে আলোড়ন তুলে। রবীন্দ্রনাথ—নজরুল মাইকেল ধারা পেরিয়ে উত্তর আধুনিক কালের কবিগণ বাংলা কবিতাকে নতুন প্রকরণে সমৃদ্ধ করেছেন। কবি লায়লা আহমে সেলিনা সেই ধারায় “অমৃত ব্যথা” নামে একটি একক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করতে যাে‧ছন। এটি তাঁর ৪র্থ একক কাব্যগ্রন্থ। তার প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থের পান্ডুলিপির অধিকাংশ কবিতা পড়ে আমি আশাবাদি কবি লায়লা আহমেদ সেলিনার কবিতা সময়ের সিঁড়ি বেয়ে অচিরেই উঠে বাংলা সাহিত্যের আকাশে, যা হবে কালজয়ী। জাতীয় মন ও মননের আত্মিক বিকাশ সাধনে কবি লায়লা আহমে সেলিনার কাব্যগ্রন্থ “অমৃত ব্যথা”র ভ‥মিকা সু-প্রসারী হবে এই প্রত্যাশা করছি। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমুহে কবির কাব্য ভাবনার গতিশীলতা প্রতিটি কবিতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুরণিত। আমার আন্তরিক ভালোবাসা আর শুভ কামনা রইলো কবি লায়লা আহমে সেলিনা ও তার কাব্যগ্রন্থ “অমৃত ব্যথার” র জন্য। কাব্যগ্রন্থ জিতে নিক পাঠকের মনের তরঙ্গ, এই প্রত্যাশা রইলো।