রাতের অন্ধকারে ছুরি হাতে হেঁটে আসছে কেউ একজন। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলোতে অস্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় পরে থাকা রক্তের সারিবদ্ধ বিন্দু৷ ফেলে আসা বিয়ে বাড়িটিতে আগামীকাল হবে শোকের ছায়া। এতবছর পর আবারও পুরনো সিরিয়াল কিলার মজনুর মতো কেউ করে চলেছে একের পর এক বিয়ের কনের খুন। ইন্সপেক্টর ধ্রুব তার টিম নিয়ে ব্যস্ত সেই খুনিকে খুঁজতে। অন্যদিকে, দিনে দুপুরে নিজ বাড়িতে খুন হন মিন্দুল সাহেব। ইন্সপেক্টর ফারহানের তদন্তে বেরিয়ে আসে মিন্দুল সাহেবের পুরনো শত্রু ট্রান্সজেন্ডার চামিলি বাঈ এর নাম। সেই চামিলি বাঈ যে জেলখানায় নিজের শাড়িরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। কিন্তু সে ফিরেছে। নিজের রক্তে জেলের দেয়ালে লেখা কথা অনুযায়ী সে ফিরেছে প্রতিশোধ নিতে। মজনু ও চামিলি বাঈকে খুঁজতে ব্যস্ত পুলিশ। মজনু ও চামিলি বাঈ এর কেসের ইনভেস্টিগেটর অফিসার হিসেবে তিস্তা কাজ করেছিল বলে এবারও ইন্সপেক্টর ধ্রুব ও ফারহানকে সাহায্য করতে ফিরে আসে তিস্তা। শুরু হয় নতুন করে তদন্ত। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে আসে সারফারাজ। কিন্তু কাজে হাত দেওয়ার আগেই কেউ তাকে খুন করে। তার মাথা কাটা দেহটা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তারই বাড়ির বাগানে। এরপর পরই আক্রমণ হয় ইইন্সপেক্টর ধ্রুব ও ফারহানের উপর। কেউ তাদের মারতে চাইছে। কিন্তু কে? চামিলি বাঈ নাকি মজনু!! নাকি অন্য কেউ যে লুকিয়ে আছে এই দুই নামের আড়ালে। সম্পূর্ণ ভিন্ন এক উপন্যাস। একটি মেয়ের নিজের পরিচয়ের জন্য লড়াই, নিজের সম্মানের জন্য লড়াই, রহস্য, কুসংস্কার, কিছু পরিবারের বাস্তব চিত্র নিয়ে সাজানো " ইনভেস্টিগেটর তিস্তা "।