শিশু-কিশোরদের জন্য লেখালেখি করার মধ্যে একধরনের আনন্দবোধ কাজ করে। কেননা, ওদের জন্য লিখতে গেলে সবার আগে ওদের শিশুসুলোভ মন বুঝতে হয়। বুঝতে হয় ওরা কিসে হাসবে, কিসে আনন্দ পাবে, কিসে উল্লাস করবে, কিসে শিখবে। সাহিত্যের একটি স্পর্শকাতর শাখা হল এই শিশু-কিশোর সাহিত্য। যেটিতে সবার লেখার সাহস জোটে না। তবে আমি সেই সাহস সঞ্চার করেছি। শিশু-কিশোর জন্য প্রতিনিয়ত লিখে চলেছি। এটি ভালো লাগার একটি প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছি আমার জন্য। তাই ওদের কথা মাথায় রেখে এবারের নিবেদন ‘দুষ্টুদেরও বুদ্ধি আছে’। নামটির মধ্যে লুকিয়ে আছে শিশু-কিশোরদের বুদ্ধিদীপ্ততার প্রতিচ্ছবি। দুষ্টু হলেই যে বখে গেছে বা মেধা নেই, এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মেধা সকলের মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করা আছে। কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তা শুধু খুঁজে বের করতে হবে। আমি আশাবাদী, কোমলমতি শিশু-কিশোররা ‘দুষ্টুদেরও বুদ্ধি আছে’ বইটিকে নিজেদের মেধা বিকাশের একটি মাধ্যম মনে করে বুকে আগলে নিবে। লুকায়িত প্রতিভার বিস্ফোরণের মাধ্যমে সমাজ ও দেশকে আলোকিত করবে। প্রতিটি শিশু-কিশোরের আসন্ন দিনগুলো শুভ ও সুন্দর হোক, সে প্রত্যাশা। মোহাম্মদ অংকন শিশুসাহিত্যিক
মোহাম্মদ অংকন, বর্তমান লেখকদের মধ্যে পরিচিত মুখ। শৈশব-কৈশোরে লেখালেখির হাতেখড়ি। নিয়মিত লিখছেন দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন ও সাময়িকীতে। সাহিত্যের সব শাখাতেই আছে সমান দক্ষতা। দক্ষতা, আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব ও প্রতিশ্রুতিশীলতা ক্রমশ এই লেখককে আগামীর পথ দেখাচ্ছে। বছরব্যাপী নতুন বই প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকমহলে চমক সৃষ্টি করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যে এই প্রতিভাবান লেখকের অবাধ বিচরণে মুগ্ধ সবাই। তিনি ১৯৯৭ সালের ৭ নভেম্বর নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হওয়ার পরও লেখালেখির সূত্রে ঝুঁকে পড়েন সাংবাদিকতায়। দৈনিক মানবকণ্ঠে সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও সরকারি চাকরি পাওয়ায় তা আর করা সম্ভব হয় না। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত আছেন। পুরস্কার ও সম্মাননা: ‘পাপড়ি-করামত আলী পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০১৯’, ‘রূপচাঁদা: অদেখা বাংলাদেশ সেরা গল্পকার-২০১৯’, ‘চয়েন বার্তা সম্মাননা-২০২০’, ‘লিখিয়ে পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২০’, ‘প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২২’।