ফ্ল্যাপে লিখা কথা মঞ্জুশ্রী চৌধুরীর জন্ম ১৯২০ সালের সিলেটের এক সংস্কৃতি পরিবারে। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংশন গ্র্যাজুয়েট ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.টি( প্রথম শ্রেণী এবং বাংলা সাহিত্যে এম.এড (প্রথম শ্রেণী) এবং বাংলা সাহিত্যে পিএইচডি। শিক্ষবকাতকে তিনি জীবনের পবিদ্র ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ‘শিক্ষাই জীবন এবং জীবনের জন্য শিক্ষা’ এই নীতি তাকে আত্নোৎকর্ষের হিরসম্য় হথে ধাপে ধাপে উত্তীর্ন করেছে। সুদীর্ঘ তিন যুগব্যাপী চাকুরিজীবনে তিনি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হেডমিস্টেস,বিভাগীয় স্কুর ইন্সপেকট্রেস, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যাপিকা ,নিয়েয়ারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধানরূপে কাজ করে বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তার নিরলস সাধনা তাকে বাংলাদেশের একজন উৎসর্গীকৃত প্রাণ, কৃতী বরেণ্য শিক্ষাবিদের মহিম-মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। আধুনিক চিন্তচেতনায় সম্প্রসারিত তার শিক্ষা-ভাবনা। শুধু তা-ই নয় ,তিনি অত্যন্ত ধীশক্তিসম্পন্না একজন শিক্ষা-দার্শনিক, গবেষক ও চিন্তাবিদও বটে । তার প্রকাশিত গ্রন্থাবলি -রবীন্দ্রনাথের রূপক সাংকেতিক নাটক, শিশু জীবন বিকাশ, বাংলা শিক্ষন পদ্ধতি, শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের কথা, শিক্ষায় মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, রবীন্দ্র ভাবনা ইত্যাদি তাঁর অতুলনীয় অবদানের উল্লেখযোগ্য নির্দশন। শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন , সাহিত্যক্ষেত্রেও তেমনি তাঁর জীবনদর্শন ও মানস-প্রগতির স্বাক্ষর দেদীপ্যমান, সাহিত্যের নানাক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ রসতীর্থের পথিকরূপে। একজন সমাজ-সচেতন গল্প রচয়িতা। জাগ্রত যে ভালো, আমপাতা-জামপাতা সোনার খাঁচা, প্রাণের মাঝে সুধা আছে,তাঁর আত্নজীবনী চলতি পথের রেখা,কয়েকটি ছড়া ও গল্পগ্রন্থ রয়েছে। কিন্তু তাঁর প্রাবন্ধিক সত্তার সক্রিয়তা, যেমন কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -এর বিপুল ও বিচিত্র সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে তাঁর রচনার আলোচনা-পর্যালোচনা প্রসাদগুনে অভিনবত্ব লাভ করেছে।
সূচিপত্র * প্রথম অধ্যায়: শিক্ষার লক্ষ্য ও শিক্ষাদর্শন * দ্বিতীয় অধ্যায়: শিক্ষার লক্ষ্য : বাংলাদেশ * তৃতীয় অধ্যায়: শিক্ষার্থী * চতুর্থ অধ্যায়: শিক্ষক * পঞ্চম অধ্যায়: শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি * ষষ্ঠ অধ্যায়: মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্ব, উদ্দেশ্য ও সমস্যা * সপ্তম অধ্যায়: বিদ্যালয় সুশাসন ও সুশৃঙ্খলা * অষ্টম অধ্যায়: বিদ্যালয় প্রশাসন ও পরিচালন * নবম অধ্যায়: সুশিক্ষক * দশম অধ্যায়: শিক্ষণ-তত্ত্ব ও শিক্ষণ-পদ্ধতি * একাদশ অধ্যায়: শিক্ষায় প্রদীপন এবং তথ্যজ্ঞ ব্যক্তি * দ্বাদশ অধ্যায়: শিক্ষার উন্নতির পরিমাপ :পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন * ত্রয়োদশ অধ্যায়: শিক্ষাক্ষেত্রে পরামর্শ ও নির্দেশনা * চতুর্থ অধ্যায়: পরিদর্শন * পঞ্চদশ অধ্যায়: শিক্ষক-শিক্ষণ * ষোড়শ অধ্যায়: নবীন-শিক্ষক * সপ্তদশ অধ্যায়: বয়স্ক শিক্ষা * অষ্টাদশ অধ্যায়: সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা * সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি
মঞ্জুশ্রী চৌধুরীর জন্ম ১৯২০ সালে সিলেটের এক সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ পরিবারে। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংশন গ্র্যাজুয়েট, ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.টি (প্রথম শ্রেণী), এম.এ. এম.এড. (প্রথম শ্রেণী) এবং বাংলা সাহিত্যে পিএইচ.ডি.। শিক্ষকতাকে তিনি জীবনের পবিত্র ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। শিক্ষাই জীবন এবং জীবনের জন্যই শিক্ষা’ এই নীতি তাঁকে আত্মােৎকর্ষের হিরন্ময় পথে ধাপে ধাপে উত্তীর্ণ করেছে। সুদীর্ঘ তিন যুগব্যাপী চাকুরিজীবনে তিনি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হেডমিস্ট্রেস, বিভাগীয় স্কুল ইন্সপেকট্রেস, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যাপিকা, নিয়েয়ারের উর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরূপে কাজ করে বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তার নিরলস সাধনা তাঁকে বাংলাদেশের একজন উৎসর্গীকৃত প্রাণ, কৃতী বরেণ্য শিক্ষাবিদের মহিম-মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। আধুনিক চিন্তাচেতনায় সম্প্রসারিত তাঁর শিক্ষাভাবনা। শুধু তা-ই নয়, তিনি অত্যন্ত ধীশক্তিসম্পন্না একজন শিক্ষা-দার্শনিক, গবেষক ও চিন্তাবিদও বটে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলি-রবীন্দ্রনাথের রূপক-সাংকেতিক নাটক, শিশুর জীবন বিকাশ, সুশিক্ষক, শিক্ষা মনােবিজ্ঞানের কথা, শিক্ষায় মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, রবীন্দ্র ভাবনা ইত্যাদি তার অতুলনীয় অবদানের উল্লেখযােগ্য নিদর্শন। শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন, সাহিত্যক্ষেত্রেও তেমনি তার জীবনদর্শন ও মানস-প্রগতির স্বাক্ষর দেদীপ্যমান, সাহিত্যের নানাক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ রসতীর্থের পথিকরূপে। একজন সমাজ-সচেতন গল্পরচয়িতা। জাগ্রত যে ভালাে, আমপাতা-জামপাতা, সােনার খাঁচা, প্রাণের মাঝে সুধা আছে, তার আত্মজীবনী চলতি পথের রেখা, কয়েকটি ছড়া ও গল্পগ্রন্থ রয়েছে। কিন্তু তার প্রাবন্ধিক সত্তার। সক্রিয়তা, যেমন কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর বিপুল ও বিচিত্র সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে তাঁর রচনার আলােচনা-পর্যালােচনা প্রসাদগুণে অভিনবত্ব লাভ করেছে।