প্রকৃতির সে যেন এক স্বতঃস্ফূর্ত প্রদর্শনশালা। কোথাও ধূ ধূ উষর মরূভূমিতে পথ চেনা দায়, কোথাও মাইলব্যাপী গভীর গিরিখাতের খাঁজে খাঁজে রঙের খেলা, কোথাও আগ্নেয়গিরি থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে আগুনের নদীর প্রতিনিয়ত সমুদ্রের জলে এসে শান্তি খোঁজা। এখানে পাথরের খাঁজে খাঁজে কথা বলে লক্ষ বছরের ইতিহাস, সমুদ্রের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে হাজার ফুট উঁচু পাথুরে ক্লিফের পায়ে, আবার সেই ক্লিফের উপরেই আছে কুয়াশার ঘোমটায় ঢাকা অসূর্যম্পশ্যা বনভূমি। মহাপ্রাচীন, সুগম্ভীর সেই বৃক্ষদের গড় বয়স দু’হাজার বছর। এই সব দেখেছি আর অপার বিস্ময়ে বাক্যহারা হয়েছি। খুব ইচ্ছে হয়েছে সেই বিস্ময় অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। বিস্ময় ভাগ করে নেওয়ার সেই ইচ্ছে থেকেই এই ভ্রমণকাহিনীগুলির জন্ম। কয়েকটি ভ্রমণকাহিনী ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে ‘সোনাঝুরি’ ওয়েবজিন, ‘মঞ্জরী’, ‘আমাদের ছুটি’ এবং ‘দেশ’ পত্রিকায়। মাঠঘাট-বনবাদাড় থেকে তুলে আনা বুনো ফুলে গাঁথা আমার এই সাদাসিধে আটপৌরে মালাখানি যদি কোনো পাঠকের মনে যদি বিন্দুমাত্র আগ্রহ জাগিয়ে তোলে, আমাদের এই প্রাচীনা পৃথিবীর বিস্ময়কর অস্তিত্ব যদি তিলেকের জন্য হলেও তাকে আনমনা করে, তাহলেই এই পুষ্পচয়ন সার্থক।