তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক মশিউর রহমান শান্ত'র অনন্য লেখনীতে সমাজের উঁচু-নিচু সব শ্রেণির মানুষের বিস্ময়কর অন্তর্গত ক্যানভাস পাঠককে মুগ্ধ করে, ভাবনার জগতে তোলে তুমুল তোলপাড়। ব্যক্তিগত জীবনে রেডিও উপস্থাপক হিসেবে সমাজের ক্লেদাক্ত চরিত্র থেকে শুরু করে বর্ণিল সত্তা সকলের সাথে ঘটেছে তাঁর অনায়াস পরিচ্ছন্ন পরিচয়। সেই অভিজ্ঞতা আর স্বপ্নিল কল্পনার সুষম সমাবেশে তিনি গড়ে তুলেছেন তাঁর নতুন উপন্যাস সংকলন ‘তিন বসন্ত’র জগৎ। সংকলনে ঠাঁই পাওয়া ‘সূর্যোদয়’, ‘অভিমানের শহর’ এবং ‘রেডিও জকি’ এই তিনটি ভিন্নমাত্রার উপন্যাসের মধ্য দিয়ে মশিউর রহমান শান্ত খুঁজে ফেরেন জীবনের স্বরূপ ও দর্শন। সূর্যোদয় উপন্যাসে তিনি বলেছেন এক স্বপ্নবিলাসী শিল্পপতির গল্প। অভিমানের শহর উপন্যাসে মিলবে শহুরে দুই তরুণ-তরুণীর জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু মনকাড়া ঘটনার ইতিবৃত্ত। রেডিও জকিতে একজন রেডিও উপস্থাপক বর্ণনা করেন তার নানামুখী অভিজ্ঞতার কথা। সমাজের ক্ষয়ে যাওয়া মূল্যবােধে ফুটে ওঠা যন্ত্রণাক্লিষ্ট মানুষের অবয়ব বর্ণিত হয়েছে এই উপন্যাসে। বাংলা কথাসাহিত্যে অকপট গল্পকথনের যে ধারাটি অব্যাহত রয়েছে সেখানে শান্ত'র লেখনী সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত। মানবজীবনের বহুমাত্রিক সমীকরণ মেলানাের প্রয়াসে ‘তিন বসন্ত’ হয়ে উঠেছে তাঁর শিল্পিত উত্তরণের অনন্য নিদর্শন।
মশিউর রহমান শান্ত`র মিডিয়ায় পথচলা শুরু ২০১০ সালে একুশে টেলিভিশনে মুক্ত খবরে রিপোর্টার এবং প্রেজেন্টার হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে। শিশুতোষ রিপোর্ট এবং প্রেজেন্টেশন সবমিলিয়ে একুশে টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের সংখ্যা ১৭৬টির বেশি। দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক কালেরকন্ঠ, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশসহ পত্রিকায় লেখা ফিচারের সংখ্যা দুইশতাধিক। ছোটগল্প লিখেছেন ৪২ টি যার মাঝে ৮টি গল্প প্রকাশ হয়েছে ভারত থেকে। বর্তমানে একুশে টিভির মুক্ত খবরে রিপোর্টার এবং প্রেজেন্টার থাকার পাশাপাশি আরজে হিসেবে কর্মরত আছেন এবিসি রেডিও ৮৯.২ এফএম-এ।