সিন্ধু সভ্যতা আর মেসোপটেমিয়ার মাঝে হল পারস্য। যা আজকের ইরান। দুই বিখ্যাত সভ্যতার মাঝে এই দেশ জুড়ে বহু প্রত্নক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে আধুনিক যুগে, যার খবর আমরা বিশেষ রাখি না। টেপে শিয়ালক, টেপে হিসার ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্র দিয়ে একসময় স্থলপথে বাণিজ্য হত দুই সভ্যতার মধ্যে। মেসোপটেমিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে যেসব সিন্ধু সভ্যতার দামী রত্ন ও পাথর পাওয়া গিয়েছে তার আদানপ্রদান হত ইরানের এই খোরাসান পথ দিয়ে। এই বাণিজ্যের আধিপত্য দখল করার জন্য দীর্ঘ যুদ্ধ হয়েছিল খৃষ্ট পূর্ব ৩০০০ এর পরবর্তী সময়ে। একসময়ে হরপ্পানদের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়. শহর-এ-শোকতা জাতীয় শহরের পত্তন হয় এই সময়ে। হরপ্পান বহু শহর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকশো বছর বাদে হরপ্পানরা নিজেদের গুছিয়ে নেয়। আবিষ্কার করে জলপথে পারস্য উপসাগর দিয়ে বাণিজ্যের সম্ভাবনা। দখল নেয় উত্তর আফগানিস্তানের খনি। তৈরি হয় শর্তুগাই এর মতন খনিশহর এবং অন্তিম আঘাতে ইরানের পূর্বদিকে গড়ে ওঠা কেন্দ্র গুলিতে প্রবল আক্রমণ চালায় তারা। ল্যাপিস ল্যাজুলি, কর্ণেলিয়ন, স্টিয়াটাইটের বাজার দখল করার কয়েকশো বছর ধরে চলা যুদ্ধ হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম বাণিজ্য যুদ্ধ। ইরানের প্রতি ক্ষেত্র গুলির বিবরণ সহ সেদিনের উথালপাতাল ইতিহাস নিয়ে আমাদের এই পুস্তক। সিন্ধু সভ্যতার সমাজের নানা ঘাত প্রতিঘাতের কথাও জানা যাবে এই বই পাঠে।