বিভ্রান্তির রহস্য কোথায়? গুরুবাদ হইল ধর্মজগতের মূল ভিত্তি। সম্যক গুরু হইতেই কেবল অবিরামভাবে ধর্মদেশনা হইয়া থাকে। হেকমতপূর্ণ কোরানে উল্লেখিত গুরুবাদ না বুঝিয়া যাহারা কোরানের কথার উপর মন্তব্য পেশ করিবেন তাহারা কোরানের দর্শন প্রকাশে কখনও সত্যাশ্রয়ী হইতে পারিবেন না। অতএব তাহাদের ধর্মদেশনা সঠিক হইতে পারে না। চট্টগ্রামের কোন একটি খৃষ্টান মহল হইতে কোরানের একটি বাক্যের উদ্ধৃতি দিয়া মুসলমান জাতি তথা মহানবী মোহাম্মদকে (আঃ) যে হেয় প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালানো হইয়াছে উহার প্রতিবাদ করিতে যাইয়া ১৯৮৯ সনের ১৬ই অক্টোবর মাসের ইনকিলাবে যে প্রতিবাদটি প্রকাশ করা হইয়াছিল তাহাও যথার্থ প্রতিবাদ হয় নাই বরং বিভ্রান্তিকর হইয়াছে। এইরূপ ধর্মীয় অজ্ঞানতার কাঁদা ছোড়াছুড়ি দ্বারা কোনরূপ সমস্যার সমাধান হয় না বরং তাহাতে সাম্প্রদায়িক গোলযোগ বৃদ্ধি করে। মুসলমান আলেমগণের রচিত প্রচলিত ভ্রান্ত অনুবাদ ও ব্যাখ্যা অবলম্বন করিয়াই উক্ত খৃষ্টানগণ ভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার করিয়াছেন। সুতরাং এ বিষয়ে যদিও উক্ত খৃষ্টান মহলকে অপরাধী সাব্যস্ত করা যায় না তথাপি তাহাদের পক্ষে সম্যক জ্ঞান অর্জন না করিয়াই পরধর্মে আঘাত করার মানসিক প্রবণতা অবশ্য নিন্দনীয়। নিজ ধর্ম না বুঝিয়া যে কেহ পরধর্মে আঘাত হানিবার চেষ্টা করিবেন সে ব্যক্তি অবশ্য গোলযোগ সৃষ্টিকারীর ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হইবেন। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়া আমরা উক্ত বাক্যটির সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করিলাম।