মক্কার আবু কুহাফার ছেলে আবদুল্লাহ। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একান্ত সঙ্গী। নবুওয়াত প্রাপ্তির আগে কিংবা পরে, নবিজির প্রিয় সাথি। বদর উহুদ খন্দক তাবুকের বীর সিপাহী, ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু। নিজ গোত্রে তিনি ছিলেন সকলের সমাদৃত। ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা আচার-ব্যবহারে তিনি ছিলেন নম্র। সবার কাছে ছিলেন বিশ্বস্ত ব্যক্তিত্ব। তার বিশ্বস্ততার প্রমাণ বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে দিয়েছেন। নামকরণ করেছেন—সিদ্দিক—বিশ্বস্ত মুমিন। ইসলামের প্রথম যুগেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ইসলামের ওপর আসা সময়ে সময়ে বাধা; লঙ্ঘন করে নবিজির সঙ্গদানে ধন্য করেন নিজেকে। হিজরত করেন নবিজির আদেশে। একান্ত সঙ্গী হন গারে সাওরে। ব্যথা-বেদনা মেনে নেন মাথাপেতে। নবিজির মৃত্যুপরবর্তী উম্মাহর রাহবার ছিলেন তিনি। ইরতিদাদের ভয়ঙ্কর ফিতনা থেকে উম্মতকে আগলে নিয়েছিলেন তিনিই। মিথ্যা নবি দাবীদারদের অহংকার ধুলোয় মিশিয়েছেন তিনিই। বিস্তৃত করেছেন মুসলিমদের সীমানা প্রাচীর। তিন বছরের বর্ণাঢ্য খিলাফত শেষে অব্যহতি নেন খিলাফত থেকে, দুনিয়া থেকে। পাড়ি জমান শ্রেষ্ঠ বন্ধুর কাছে। রাদিয়াল্লাহু আনহু ওয়া রাদু আনহু। মিসরের প্রখ্যাত মুহাক্কিক, লেখক ও সাহিত্যিক শাইখ মুহাম্মদ আশরাফ আল-ওয়াহশ রচিত এর গ্রন্থ আমাদের এ মহান সাহাবিরই গল্প শোনাবে।